সড়ক দুর্ঘটনায় ক্রিকেটার সাইমন্ডসের মৃত্যু

অস্ট্রেলিয়ার টাউন্সভিল শহরে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন ২ বারের বিশ্বকাপ জয়ী ক্রিকেটার অ্যান্ড্রু সাইমন্ডস।

আজ রোববার ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার ওয়েবসাইট এই খবর নিশ্চিত করে জানিয়েছে, ৪৬ বছর বয়েসী সাইমন্ডসের গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়লে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

কুইন্সল্যান্ড পুলিশ জানিয়েছে, একমাত্র আরোহী সাইমন্ডসকে উদ্ধার করার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু, গাড়িটি রাস্তা থেকে ছিঁটকে পড়ে যায়। তাতে গুরুতর আহত হয়ে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান সাইমন্ডস।

এই ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে স্থানীয় পুলিশ। এক বিবৃতিতে তারা জানায়, ‘স্থানীয় সময় রাত ১১টার কিছু পরে টাউন্সভিল থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে হারভি রোডে ঘটনাটি ঘটে। এলিস রিভার ব্রিজের কাছে গেলে গাড়িটি রাস্তা থেকে ছিটকে পড়ে যায়।’

মাত্র ২ মাস আগেই অস্ট্রেলিয়া হারিয়েছিল তাদের আরও ২ কিংবদন্তি ক্রিকেটার রডনি মার্শ ও শেন ওয়ার্নকে। সাবেক কিপার ব্যাটসম্যান মার্শের মৃত্যুর রেশ না কাটতেই আকস্মিকভাবে থাইল্যান্ডের এক রিসোর্টে মারা যান ওয়ার্ন। ওয়ার্নের মৃত্যু নাড়িয়ে দেয় পুরো ক্রিকেট বিশ্বকে। সেই শোক থাকতেই দেশটি হারালো তাদের ইতিহাসের আরও এক বড় নামকে।

ক্রিকেট অস্টেলিয়ার চেয়ারম্যান লেচলান হেন্ডারসন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট আরেক সেরা জনকে হারাল। অ্যান্ড্রু ছিলেন অসাধারণ প্রতিভাবান। তিনি অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বজয় ও কুইন্সল্যান্ডের ক্রিকেট ইতিহাস সমৃদ্ধ করেছেন।’

সাইমন্ডসের মৃত্যুর পর ভেঙে পড়েছে তার পরিবার। তবে ব্যক্তিগত গোপনীয়তার প্রতি সম্মান দেখাতে অনুরোধ করেছেন তারা।

১৯৯৮ সালে সাইমন্ডসের ওয়ানডে অভিষেক হয়। ৩৯ দশমিক ৭৫ গড় আর ৯২ দশমিক ৪৪ স্ট্রাইকরেটে ৫ হাজার ৮৮ রান করেছেন তিনি। ওয়ানডেতে তার আছে ১০৩টি ছক্কা। ২০০৩ ও ২০০৭ সালের বিশ্বকাপ জয়ে রেখেছেন অবদান।

বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে নাম কুড়ানো এই তারকার ওয়ানডেতে বল হাতেও আছে ১৩৩ উইকেট। বল করতে পারতেন অফ স্পিন ও মিডিয়াম পেস দুই ধরনেই। ওয়ানডে অভিষেকের ৬ বছর পর ২০০৪ সালে টেস্ট অভিষেক সাইমন্ডসের। টেস্ট ক্যারিয়ার ২৬ টেস্টে থেমে গেলেও সেখানে ইংল্যান্ড ও ভারতের মতো দলের বিপক্ষে আছে রাজকীয় ইনিংস।

শুধু ব্যাটিং-বোলিং নয় সাইমন্ডস বিখ্যাত ছিলেন তার চোখধাঁধানো ফিল্ডিংয়ের জন্যও। অবিশ্বাস্য সব ক্যাচ, দুর্দান্ত রানআউটে নিজেকে আলোয় এনেছেন বহুবার। সেই সময়ে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে সব মিলিয়ে সাইমন্ডস ছিলেন পূর্ণাঙ্গ অলরাউন্ডার।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।