চট্টগ্রাম নগরীতে পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে মাবিয়া গ্রুপ ও শাহেদ চৌধুরী এন্টারপ্রাইজ চেয়ারম্যান কর্তৃক রিজাল ফার্মহাউস পক্ষ থেকে হতদরিদ্র ও অসহায় পরিবারের মাঝে কোরবানির পশু ও ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
বন্দর পতেঙ্গার ঐতিহ্যবাহী ওয়াশিল চৌধুরীর বাড়ির সন্তান বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও শিল্পপতি মরহুম আব্দুল মান্নান চৌধুরীর বড় ছেলে তরুণ ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক শাহেদ চৌধুরী (রবিন) নগরীর উত্তর পতেঙ্গার চরপাড়া নিজস্ব রিজাল ফার্ম হাউস থেকে ৩৮, ৪০ ও ৪১ নম্বর এলাকার হত দরীদ্রের মাঝে এই কোরবানির পশু ছাগল ও ঈদ সমগ্রী বিতরণ করেন।
এসময় মাবিয়া গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং শাহেদ চৌধুরী এন্টারপ্রাইজ প্রোপাইটর সাহেদ চৌধুরী রবিনর সঙ্গে তার মা লিপি আকতার, ভাই শারিয়ার চৌধুরী রাহাত ও পরিবারের সদস্য আশিয়ানা সামিয়া, ফাইজা রহমান, মুসতায়ান চৌধুরী রিজালসহ ৩৮, ৪০ ও ৪১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
কোরবানির পশু বিতরণকালে শাহেদ চৌধুরী রবিন বলেন, আমার মরহুম বাবা মান্নান চৌধুরীও গরীব এবং অসহায় লোকজনদের ভালো বাসতেন। এলাকার মানুষজনের যে কোনো সংকটময় মুহূর্তে তাদের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতেন। তাই আমিও বাবা পথ অনুসরন করে সব সময় দরীদ্র ও অসহায় গরীব মেহনতিমানুষ এবং শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি।
এই প্রক্রিয়া চলমান থাকবে জানিয়ে শাহেদ চৌধুরী রবিন বলেন, ভবিষ্যতে দুঃস্থ ও অসহায় পরিবারগুলোকে স্বাবলম্বীব করতে জন্য গর্ভবতী ছাগল বিতরণ করা হবে। পর্যাক্রমে চট্টগ্রাম নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে এই কার্যক্রম সম্প্রসারণ করা হবে।
মরহুম শিল্পপতি আব্দুল মান্নান চৌধুরীর সহধর্মীনি ও শাহেদ চৌধুরী রবিনের মা লিপি আকতার বলেন, এবার আমার ছেলে কয়েকটি পরিবারকে স্বাবলম্বী করতে ছাগলের পাশাপাশি নগর টাকা ও ঈদ সামগ্রী বিতরণ করছে। আগামী দিনে আরো ব্যাপক আকারে সমাজের অবহেলিত দরীদ্র জনগোষ্ঠীর মাঝে যেন এই কর্মসূচি সম্প্রসারণ করতে পারে সেজন্য আপনারা দোয়া করবেন।
প্রসঙ্গত, পতেঙ্গা থানার ৩৮ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার ওয়াশিল চৌধুরী বাড়ির সন্তান মরহুম আবদুল মান্নান চৌধুরী মাবিয়া গ্রুপের চেয়ারম্যান ছিলেন। তাঁর হাত ধরে সন্তানরা শিপিং ব্যবসা, চট্টগ্রাম ইপিজেড এবং কর্ণফুলী ইপিডেজে ব্যবসা পরিচালনা করার পাশাপাশি সমাজ সেবায় নিজেদের সম্পৃক্ত রেখেছেন। তারই ধারাবাহিকতায় এলাকায় হতদ্ররিদ্র মানুষকে স্বাবলম্বী করতে এই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।