হালদা থেকে ডিম আহরণের প্রস্তুতি শেষ

হালদা নদীতে ডিম ছাড়ার মৌসুম অত্যাসন্ন। কয়েকদিন বৃষ্টির কারণে আবহাওয়াও শীতল। নদীর উপরি ভাগে বৃষ্টির প্রকোপ কম থাকায় নদীতে তেমন ঢলের তীব্রতা নেই।

তাছাড়া মা মাছ আমাবস্যা, অষ্টমী ও পূর্ণিমা তিথি ছাড়া ডিম ছাড়েনা। ঘূর্ণিঝড় কিংবা সাইক্লোনেও ডিম না ছাড়া মা মাছের ধর্ম। বর্তমানে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব চলছে। তাই বৃষ্টি পড়ছে। ইতিমধ্যে আমাবস্যা ও অষ্টমীর দুইটি তিথি শেষ হয়ে গেছে।

সামনে পূর্ণিমা। যদি ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব শেষ হয়ে যায় তাহলে আগামী পূর্ণিমার তিথিতে বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হলে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে নদীতে মা মাছ ডিম ছাড়তে পারে।

এই প্রত্যাশায় ডিম সংগ্রহকারীদের প্রস্ততি প্রায় শেষ পর্যায়ে। ডিম আহরণের জন্য নৌকা ও সরঞ্জাম নিয়ে তারা ডিম ছাড়ার অপেক্ষায় রয়েছে।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা পীযূষ প্রভাকর হালদা নদী থেকে আহরিত ডিম থেকে রেনু ফোটানোর সরকারি হ্যাচারিগুলো প্রস্তত রয়েছে বলে গনমাধ্যমকে জানিয়েছেন।

এদিকে হ্যাচারি কিংবা মাটির কুয়ায় ডিম থেকে রেণু ফোটানোর পর রেণু পুকুরে দিয়ে বাচ্চা মাছ তথা বাইশ করার জন্য কাজ করছে ডিম আহরণকারীরা। তারা পুকুরগুলো সেচ দিয়ে পুরাতন মাছ কিংবা পূর্বের মাছ ধরে বিক্রি করে দিচ্ছে।
আবার কেউ কেউ অন্য পুকুরে বাইশগুলো স্থানান্তর করছে। কারণ রেণু পোনাগুলো পূর্বের মাছের পুকুরে রাখলে বড় মাছগুলো পোনা খেয়ে ফেলবে। তাই তারা রেণু পোনা রাখার জন্য পুকুর থেকে পূর্বেকার মাছ তুলে নিচ্ছে।

উত্তর, দক্ষিণ মাদার্শা, গড়দুয়ারা ও আশপাশের এলাকায় পুকুর সেচে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে ডিম আহরণকারী ও রেণু পোনা উৎপাদনকারীরা। মৎস্য বিভাগ বিষয়গুলো সার্বক্ষণিক তদারকি করছেন বলেও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তারা উল্লেখ করেন।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।