হুজুরের কাছে বিচার দিয়েই খুন হয় মাশফি

চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার চরণদ্বীপ ইউনিয়নের ফকিরাখালী গ্রামের দুবাই প্রবাসী আব্দুল মালেকের ছেলে ইফতেখার মালিকুল মাশফিকে (৭) খুন করেছিল তারই মাদ্রাসার দুই শিক্ষার্থী।

রোববার (১৯ জুন) বিকেলে খুনের বর্ণনা দিয়ে সেই দুই শিক্ষার্থী এবং প্রত্যক্ষদর্শী আরও দুই শিক্ষার্থী চট্টগ্রাম আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে।

বিষয়টি চট্টগ্রাম খবরকে নিশ্চিত করেন পিবিআই চট্টগ্রাম জেলার বিশেষ পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান। তিনি বলেন, মাশফি হত্যাকাণ্ডের পর আমরা তদন্তের দায়িত্ব পাই। পিবিআই পরিদর্শক নেজাম উদ্দিন ও জহির হোসেনসহ আমাদের টিম নিবিড়ভাবে মামলাটি তদন্ত করে। তদন্তে হত্যাকাণ্ড উদঘাটন হয়েছে। খুনে সম্পৃক্তরা আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছে।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, খুনে সম্পৃক্ত দুই শিক্ষার্থীর বয়স ১৫ বছর। মাশফির বাড়ি থেকে তার জন্য ভালো ভালো খাবার আসলে ওই দুই শিক্ষার্থী মাশফির চেয়ে বয়সে বড় হওয়ায় জোর করে খেয়ে ফেলতো। বিষয়টি মাশফি তার ঘরে জানালে ঘর থেকে জাফর হুজুরের কাছে বিচার যায়। হুজুর বড় দুই শিক্ষার্থীকে শাসন করলে তারা ক্ষেপে মাশফিকে খুন করে।

মাশফিকে খুনের দৃশটি ১০ বছর বয়সের দুই শিক্ষার্থী দেখে ফেলে। তারা আলাদা আলাদাভাবে যা দেখেছে তা পিবিআইয়ের তদন্ত টিমকে বলে। খুনে অভিযুক্ত দুই কিশোরও খুনের বর্ণনা দেয় পুলিশের কাছে।

পিবিআই তদন্ত টিম চার জনের বর্ণনায় মিল খুঁজে পান বলে জানান চট্টগ্রাম খবরকে।

প্রসঙ্গত, গত ৫ মার্চ সকাল সাড়ে ১১টায় বোয়ালখালীর আল্লামা শাহ অছিউর রহমান হেফজখানার স্টোর রুম থেকে মাশফির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাকে সেদিন ফজরের পর ৭টা খেকে নিখোঁজ ছিল মাশফি। মূলত ফজর ও সকাল ৭টার মাঝামাঝি সময়ে তাকে খুন করে তার লাশ স্টোর রুমে রেখেছিল খুনিরা।

পুলিশ এই মামলায় জাফর হুজুরসহ তিনজন হুজুরকে আটক করে কারাগারে পাঠায়। পিবিআইয়ের তদন্ত শেষে জাফর হুজুরসহ অপর দুই হুজুর মুক্তির অপেক্ষায়।

আরও পড়ুন:
প্রবাসীর সন্তানকে হাফেজ বানানোর স্বপ্নে ছুরি বসালো কে?

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।