বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ এক নম্বরে অবস্থান করছে। এই অর্জন আমাদের একদিনে হয়নি। এটার জন্য আমরা অনেক পরিশ্রম করেছি, অনেক ত্যাগ করেছি। পেশাদারিত্বের প্রত্যাশিত মান অর্জনের মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক যে কোন হুমকি মোকাবিলায় সবসময় প্রস্তুত থাকার নির্দেশনা প্রদান করেন সেনাপ্রধান।
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) সকালে চট্টগ্রাম সেনানিবাসে ৪টি ইউনিটকে রেজিমেন্টাল কালার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রত্যেক সদস্যকে সেবা ও ত্যাগের মানসিকতা নিয়ে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেন তিনি।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক ইউনিটগুলো বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তথা দেশমাতৃকার সেবায় বিশেষ অবদান এবং বিবিধ প্রশিক্ষণ ও অপারেশনাল কর্মকাণ্ডে সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ একটি ইউনিট বা রেজিমেন্টকে রেজিমেন্টাল কালার দেওয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় সেনাবাহিনীর একটি ফিল্ড রেজিমেন্ট অব আর্টিলারি, একটি ইঞ্জিনিয়ার ব্যাটালিয়ন, দু’টি পদাতিক ব্যাটালিয়ন আজকের কালার প্যারেডে অংশ নেয় এবং প্রধান অতিথির কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে রেজিমেন্টাল পতাকা গ্রহণ করে।
সেনাপ্রধান রেজিমেন্টাল কালারপ্রাপ্ত ইউনিটগুলোকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, সেনাবাহিনীর সামরিক ঐতিহ্য অনুযায়ী যেকোনো ইউনিটের জন্য রেজিমেন্টাল কালার প্রাপ্তি অত্যন্ত গৌরবের বিষয়।
এছাড়া তিনি সবাইকে ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের প্রতি আস্থা, পারস্পরিক বিশ্বাস, সহমর্মিতা এবং ভাতৃত্ববোধ বজায় রেখে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সুশৃঙ্খল, দক্ষ ও যোগ্য সেনাসদস্য হিসেবে গড়ে ওঠার নির্দেশনা দেন। সেইসঙ্গে সবাইকে পেশাদারত্বের প্রত্যাশিত মান অর্জনের মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক যেকোনো হুমকি মোকাবিলায় সদা প্রস্তুত থাকার নির্দেশনা দেন। পরিশেষে সেনাপ্রধান একটি সুশৃঙ্খল, মনোজ্ঞ ও বর্ণিল কুচকাওয়াজ প্রদর্শনের জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
এছাড়া আজ চট্টগ্রামে সেনাবাহিনী প্রধান আর্মি মেডিকেল কলেজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এ সময় সেনাপ্রধান বলেন, দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার যুগান্তকারী উন্নয়নের লক্ষ্যে ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৫টি আর্মি মেডিকেল কলেজ এবং ৬টি সরকারি মেডিকেল কলেজের কার্যক্রম একযোগে উদ্বোধন করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় সেনাপ্রধান আর্মি মেডিকেল কলেজ, চট্টগ্রামের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
অনুষ্ঠানে জেনারেল অফিসার কমান্ডিং আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ড এবং জেনারেল অফিসার কমান্ডিং ২৪ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার চট্টগ্রাম এরিয়া, চেয়ারম্যান গভর্নিং বডি, আর্মি মেডিকেল কলেজ চট্টগ্রামসহ সেনা এবং নৌ বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন পদবির সেনা সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।