১০ মিনিটেই তিনি দিতে পারেন জাতীয় পরিচয়পত্র, সার্টিফিকেট

চট্টগ্রামে ভুয়া এনআইডি, সার্টিফিকেট, চেয়ারম্যান সনদ তৈরি হচ্ছে মাত্র ১০ মিনিটে। পুরো প্যাকেজের দাম ৮ হাজার টাকা। মূল কারিগর ফটোশপে অত্যন্ত দক্ষ। চট্টগ্রাম বন্দর এবং ইপিজেড এলাকার কলকারখানার শ্রমিকরাই তার টার্গেট। তাদেরকে শত শত ভুয়া এনআইডি বানিয়ে দেয়া হয়েছে। পুলিশের অভিযানে ধরা পড়ার পর ফাঁস হয় চাঞ্চল্যকর এসব তথ্য।

চট্টগ্রামের মধ্যম হালিশহরের ধুমপাড়া বাজারে ছোট একটি দূরপাল্লার বাস কাউন্টারে কম্পিউটার নিয়ে বসেন ওমর ফারুক। ফটোকপির কাজ করতে করতে করতে দীক্ষা নেন ফটোশপের কাজে। হয়ে ওঠেন ফটোশপে এক্সপার্ট।

সেই দক্ষতা কাজে লাগিয়ে ১০ মিনিটে তৈরি করে দিতে পারেন জাতীয় পরিচয়পত্র, অষ্টম শ্রেণি পাশের সার্টিফিকেট, চেয়ারম্যান সনদ। পুরো প্যাকেজের জন্য পারিশ্রমিক নেন ৮-১০ হাজার টাকা।

দীর্ঘদিন ধরে এভাবে জালিয়াতি করে আসলেও শেষরক্ষা হয়নি। ভুয়া এনআইডি ও প্রস্তুতকাজে ব্যবহৃত সরঞ্জামসহ পুলিশের হাতে ধরা পড়েন ওমর ফারুক। তিনি স্বীকার করেন, শত শত ভুয়া এনআইডি এবং সার্টিফিকেট তৈরির কথা।

কল কারখানায় চাকরি প্রত্যাশীদের সবারই প্রয়োজন হয় জাতীয় পরিচয়পত্র, স্কুল সার্টিফিকেট ও চেয়ারম্যান সনদ। বেশিরভাগের তা না থাকায় অবলম্বন করেন অবৈধ পন্থা। চট্টগ্রাম বন্দর, ইপিজেড ও পতেঙ্গা এলাকায় সক্রিয় রয়েছে এমন আরও অনেক চক্র। অন্য ব্যবসার আড়ালে চলে এসব কাজ, ফলে চোখ এড়িয়ে যায় প্রশাসনের।

বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান বলেন, সে এই কাজ করার পরপরই ডিভাইস থেকে ডিলিট করে দিতো। কোনো কাস্টমারের কাছ থেকে সে কাজ নিলে নিজের সুবিধা মতো সময়ে সে কাজ করতো। ফলে তাকে সহজেই ধরা যেতো না।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।