চট্টগ্রাম কাস্টমের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক চট্টগ্রামে জমা দেওয়া প্রায় ১১৫ কোটি টাকার স্বর্ণ বাংলাদেশ ব্যাংকে স্থায়ীভাবে জমা দিবে কাস্টমস। এতে সরকারের রাজস্বে যুক্ত হতে যাচ্ছে এই টাকা। স্বর্ণ পরিবহণে চাওয়া হয়েছে র্যাপিড একশন ব্যাটালিয়ন-র্যাবের সহায়তা।
চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ অত্র এলাকায় বিভিন্ন সময় জব্দকৃত স্বর্ণ বাংলাদেশ ব্যাংক চট্টগ্রামে অস্থায়ীভাবে জমা দেওয়া হয়েছে। এতে সরকার রাজস্ব পায়নি। তা এবার স্থায়ীভাবে বাংলাদেশ ব্যাংক ঢাকায় জমা দেওয়া হবে, যা রাজস্বে যুক্ত হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক চট্টগ্রামে জমাকৃত স্বর্ণবার ও স্বর্ণালংকার ১৮টি লট/জিআর ভুক্ত এক হাজার ৭৭৩ পিস স্বর্ণবার রয়েছে। প্রতিটি ১০ তোলা হিসেবে ১৭ হাজার ৭৩০ তোলা বা ২০৬ কেজি ৮০ গ্রাম এবং ৮০ গ্রাম স্বর্ণালংকার। এতে চেইন আছে ১৮টি ও কানের দুল আট জোড়া। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস ইতোমধ্যে ইনভেন্ট্রি শেষ করেছে।
চট্টগ্রাম কাস্টম কমিশনার মো. ফখরুল আলম বলেন, স্বর্ণগুলো বাংলাদেশ ব্যাংক চট্টগ্রামে পড়ে থাকায় রাষ্ট্র রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাই এগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঢাকা শাখায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে চট্টগ্রাম শাখার শুধু ২০৬ কেজি নয়, আর অধিক পরিমাণ স্বর্ণ জমা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, মামলা ও আইনি জটিলতা থাকায় সেগুলোর কোনো কার্যক্রম করা যাচ্ছে না। যে স্বর্ণগুলোর কোনো প্রকার আইনি জটিলতা নেই, শুধু সেই স্বর্ণগুলো বাংলাদেশ ব্যাংক ঢাকায় পাঠানো হচ্ছে। এতে সরকারের রাজস্ব খাতে ১১৫ কোটি টাকা যোগ হবে।
ইনভেন্ট্রিকৃত এসব স্বর্ণের আনুমানিক বাজার মূল্য ১১৫ কোটি টাকা। এসব অস্থায়ীভাবে জমাদানকৃত স্বর্ণ বাংলাদেশ ব্যাংকে স্থায়ীভাবে জমাদান করলে তা সরকারের রাজস্ব আহরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
দৈনিক শেয়ার বিজ পত্রিকার সৌজন্যে
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।