১২২ মিলিমিটার বৃষ্টিতে ডুবলো নগর, বাদ যায়নি চসিক মেয়রের বাড়িও

১২২ মিলিমিটার বৃষ্টিতে চির চেনা রূপে চট্টগ্রাম নগরী। বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও অলি-গলি এমনকি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর বাড়িও।

শুক্রবার (৪ আগস্ট) সকালে সরেজমিন ঘুরে নগরীর বহদ্দারহাট, শোলকবহর, ষোলশহর, বাকলিয়া মিয়াখান নগর, মাস্টারপোল, চকবাজার, ঘুরে দেখা গেছে—ড্রেনের ময়লা-আবর্জনা ও নোংরা পানি সড়কজুড়ে। পানির দুর্ভোগের সঙ্গে নালার ময়লা বাড়িয়ে ভোগান্তি। এরজন্য নগরবাসী দায়ি করছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনকে। কারণ সেনাবাহিনী ৩৬টি খালের কাজ করলেও চসিকের অধীন ২১টি খালের কারণে সুফল মিলছেন প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের।

শুক্রবার (৪ আগস্ট) সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায় পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস ৩৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে। অপর দিকে আমবাগান আবহাওয়া অফিস দুপুর ১২টা পর্যন্ত রেকর্ড করেছে ১২২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার জেলার ওপর দিয়ে দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরকে এক নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

নগরীর আগ্রাবাদ কমার্স কলেজ এলাকা, সিডিএ আবাসিক এলাকা, শান্তিবাগ আবাসিক, চাক্তাই-খাতুনগঞ্জসহ নগরীর নিচু এলাকার সড়কগুলোতে হাঁটুপানি উঠে জোয়ারের সময়। জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে ছোটপুল-বড়পুল, গোসাইলডাঙ্গাসহ হালিশহরের বিভিন্ন এলাকায়।

কাতালগঞ্জের বাসিন্দা জসিম উদ্দিন বলেন, জলাবদ্ধতাকে নিয়তি হিসেবে মেনে নিয়েছি। এত উন্নয়ন প্রকল্পের পরও যদি মাত্র একশ মিলিমিটার বৃষ্টিতে পানিবন্দি হই তাহলে আর কিছু করার থাকে না।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।