১৫—১৬ নভেম্বর আবারও অবরোধ ঘোষণা করলো বিএনপি

দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ নেতাকর্মীদের মুক্তি এবং নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আরও দুদিন অবরোধের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল—বিএনপি। আগামী ১৫ নভেম্বর থেকে সারাদেশে পঞ্চম দফায় এ অবরোধ পালিত হবে। সোমবার (১৩ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ভার্চ্যুয়ালি এক সংবাদ সম্মেলনে অবরোধের এ ঘোষণা দেন।

রিজভী বলেন, বিএনপিসহ সমমনা বিরোধীদের ডাকা চতুর্থ দফার ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ শেষ হচ্ছে মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) সকাল ৬টায়। চলমান আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় বুধবার (১৫ নভেম্বর) সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সকাল ৬টা পর্যন্ত ৪৮ ঘণ্টা রাজপথ, রেলপথ ও নৌপথে অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হবে। বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো এ কর্মসূচি পালন করবে।

গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে হামলা ও সংঘর্ষের পরদিন দলটি সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করে। একদিন বিরতি দিয়ে ৩১ অক্টোবর থেকে টানা তিন দিন অবরোধ কর্মসূচি দেয় তারা। এরপর শুক্র ও শনিবার বিরতি দিয়ে ৫ ও ৬ নভেম্বর অবরোধ পালন করে বিএনপি। তারপর ৭ নভেম্বর একদিনের বিরতি দিয়ে ৮ ও ৯ নভেম্বর অবরোধ দেওয়া হয়।

পরে শুক্র ও শনিবার বিরতি দিয়ে আবার চতুর্থ অবরোধের ডাক দেয় বিএনপি। ১৪ নভেম্বর চতুর্থ দফা শেষে ১৫ নভেম্বর থেকে পঞ্চম দফায় অবরোধ পালনের ঘোষণা দিল দলটি।
বিএনপির অবরোধে ঢাকা কিংবা চট্টগ্রামে দূরপাল্লার গাড়ি চলাচল বন্ধ ছিল। বিশ্বের সবচে ধীরগতির শহরের তকমা পাওয়া ঢাকাও এক প্রকার যানজটমুক্ত থাকে। চট্টগ্রাম নগরীতেও একই অবস্থা। অফিসে যাওয়া এবং অফিস থেকে ফেরার পথে কিছুটা যান চলাচল থাকলেও সারাদিনই ট্রাফিক পুলিশকে অলস সময় কাটাতে দেখা যায়।

অবরোধ ডাকলেও চট্টগ্রাম বিএনপির নেতারা রয়েছেন আত্মগোপনে। কর্মীরা বিভিন্ন জায়গায় পিকেটিং করে। পুলিশ ধরপাকডাও অব্যাহত রেখেছে। প্রতিদিনই ডজন ডজন বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করছে চট্টগ্রাম জেলা ও নগর পুলিশ।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।