১৯৭ মিলিমিটার বৃষ্টির পানিতে অচল চট্টগ্রাম, মেয়রের বাড়িতেও পানি

শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে শনিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত চট্টগ্রামে সর্বোচ্চ ১৯৭ দশমিক ৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদফতর। গভীর রাতে ভারী বর্ষণে পাহাড় ধ্বসে বেলা ১১টা পর্যন্ত ৪ জন প্রাণ হারান। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১১ জন।

চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ এই বৃষ্টিতে কার্যত পুরো চট্টগ্রাম নগর অচল হয়ে গেছে। নগরীর জিইসি মোড়, ২ নম্বর ষোলশহর, মুরাদপুর, বহদ্দারহাট মোড়, বাদুরতলা, বড়গ্যারেজ, কাপাসগোলা, চকবাজার, ডিসি রোড, আমান আলী রোডসহ বৃহত্তর বাকলিয়া, চান্দগাঁওয়ের পাঠানিয়াগোদা, খাজারোড, ৩ নম্বর পাঁচলাইশ ওয়ার্ডের হাজিরপুল, অক্সিজেন-কুয়াইশ সড়ক, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল, সিডিএ আবাসিক, কমার্স কলেজ এলাকা, শান্তিবাগসহ নগরীর উল্লেখযোগ্য এলাকায় পানি থৈ থৈ করছিল সকাল পর্যন্ত।

বহদ্দারহাট এলাকায় অবস্থিত চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র এম রেজাউল করিমের বাড়িতেও পানি ওঠেছে।

মূলত নগরীর প্রধান সড়কের বহদ্দারহাট থেকে জিইসি পর্যন্ত অচল হওয়ায় ভোগান্তিটা বেশি। বহদ্দারহাট পেরিয়ে কালুরঘাট শিল্প এলাকায় যারা কর্মস্থলে যান তারা এবং মুরাদপুর, জিইসি ফেলে কিংবা এসব এলাকায় যাদের কর্মস্থল তাদের ভোগান্তি অশেষ।

গত রাতে আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভারের নীচে পানি দেখে যেসব গাড়ি ফ্লাইওভারে উঠেছে তারা শোলকবহর এলাকার পানির জন্য ফ্লাইওভারেই আটকে ছিলেন ঘন্টারপর ঘন্টা। আবার অব্যবস্থাপনায় ফ্লাইওভারের উপরও পানি জমে ছিল।

সিডিএ কর্তৃক গৃহীত জলাবদ্ধতা প্রকল্পের কাজ কয়েকদফা মেয়াদ বাড়িয়ে চলমান রয়েছে। এখনো উল্লেখযোগ্য সুফল পাচ্ছেন না নগরবাসী। সুফল পেতে কর্তৃপক্ষ বলছে কাজ শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে।

আরও পড়ুন:
চট্টগ্রামে মধ্যরাতে পাহাড় ধসে নিহত ৪
ফ্লাইওভারের ওপরে যানজট, নীচে জলজট–অচল শতাধিক গাড়ি

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।