বৃহস্পতিবারের (৭ সেপ্টেম্বর) ঘটনার পর থেকে রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) কর্তৃপক্ষ শাটল ট্রেন চালু করতে পারেনি। সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গামী কোনো ট্রেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশ্যে শহর ছেড়ে যায়নি। যদিও আগেরদিন শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেন ও অন্যান্য কার্যক্রম স্বাভাবিক নিয়মেই চলবে বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এতে ভোগান্তির শিকার সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তবে বেশ ঝামেলায় পড়ছেনে পরীক্ষার্থী শিক্ষার্থীরা। এ সমস্যা বিবেচনায় জরুরি ভিত্তিতে ৮টি বাসের ব্যবস্থা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টায় নগরীর বটতলী থেকে ৩টি ও ষোলশহর থেকে ৫টি বাস বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশ্যে ছেড়েছে।
এ বিষয়ে চবির প্রক্টর ড. নূরুল আজিম সিকদার বলেন, ‘আমরা ট্রেন চলাচলের বিষয়ে কাজ করছি। শিক্ষার্থীদের জন্য ৮টি বাস বরাদ্দ রাখা হয়েছে। সকাল ৯টায় পাঁচটি বাস ষোলশহর থেকে ক্যাম্পাসের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে। আর ৩টি একই সময়ে বটতলী থেকে ক্যাম্পাসের উদ্দেশে যাবে। ক্লাস-পরীক্ষা যথাসময়ে হবে।’
প্রসঙ্গত,গত বৃহস্পতিবার শাটল ট্রেন দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে ট্রেনের লোকোমাস্টারদের মারধর করেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। এক পর্যায়ে ট্রেন স্টেশনে রেখেই দুই লোকোমাস্টার ও গার্ড পালিয়ে যান। এরপর থেকেই মূলত নিরাপত্তাহীনতার কথা বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেন না চালানোর সিদ্ধান্ত নেন লোকোমাস্টাররা।
বৃহস্পতিবারের দুর্ঘটনায় ট্রেনের ছাদে থাকা বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন। তাদের মধ্যে একজন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে এবং দুইজন নিওরো সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধী আছেন।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।