গত তিন মাস ধরে পরিষদে যাচ্ছেন না চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার চাতরী ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত নারী সদস্য নিলুফার কবির নিলু। এতে করে ইউনিয়নের ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সেবাগ্রহীতারা জন্ম-নিবন্ধন, নাগরিক ও জাতীয়তা সনদ, ওয়ারিশ সনদসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের জন্য চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। এ ভোগান্তি লাঘবে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন ওই ওয়ার্ডের বাসিন্দারা।
পরিষদের সচিব মোহাম্মদ শাহ্ আলম জানান, ইউনিয়ন পরিষদের কোনো সভা বা মিটিং আসতেন না তিনি। শুধু বেতন-ভাতা নিয়ে যেতেন স্বাক্ষর করে। দীর্ঘদিন ধরে অনুপস্থিত থাকার কারণে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন তিন ওয়ার্ডের সাধারণ মানুষ। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আমরা ইতিমধ্যে চিঠি পাঠাচ্ছি প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে।
তিনি আরও জানান, পরিষদে শপথ গ্রহণের পর থেকে আসেননি কোনো সভা বা মিটিংয়ে। গত ২০২২ সালের ২৮ এপ্রিল বেতন তুলেছেন ৬ হাজার ১৩ টাকা। এরপর একই বছর এপ্রিল-জুনে ১৩ হাজার ২০০ টাকা, জুলাই-সেপ্টেম্বর ১৩ হাজার ২০০ টাকা, অক্টোবর-ডিসেম্বর ১৩ হাজার ২০০ টাকাসহ ২০২৩ সালে জানুয়ারি-মার্চে ১৩ হাজার ২০০ টাকাসহ ১৩ মাসের বেতন তুলেছেন ৫২ হাজার ২০০ টাকা। এছাড়াও উপজেলা পরিষদ থেকে প্রতিমাসে ৪ হাজার ৪০০ টাকা করে ৫৭ হাজার ২০০ টাকা বেতন ভাতা তুলে নিয়ে গেছেন এ ইউপি সদস্যা।
জানতে চাইলে চাতরী ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত নারী সদস্য নিলুফার কবির নিলু বলেন, গত দুইমাস ধরে পরিষদে যাচ্ছি না আমি। আগে নিয়মিত পরিষদে গিয়েছি। কোনো সভা বা মিটিং আমাকে না বলার কারণে আমি যাই না। এছাড়াও আমার স্বামীকে দিয়ে বিভিন্ন ওয়ারিশ সনদে স্বাক্ষরের জন্য পাঠালে চেয়ারম্যান তদন্ত না করে স্বাক্ষর দিবেন না বলে জানিয়ে ফেরত পাঠিয়ে দেন।
চেয়ারম্যান আফতাব উদ্দিন চৌধুরী সোহেল বলেন, ইউনিয়নের ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মহিলা ইউপি সদস্যা আমাকে অবগত না করে বিগত তিন মাস ধরে পরিষদে আসছেন না। এতে করে নগরিক সেবা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে জনগণ। বিষয়টি আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে মৌখিকভাবে অবগত করলে তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমার ও সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডকে নিয়ে বিভিন্ন অপপ্রচার চালাচ্ছেন।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।