৫ দফা দাবিতে এখনও অবরুদ্ধ চবি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার পর থেকেই উত্তপ্ত হয়ে আছে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। রোববার (৩১ জুলাই) রাত বারোটায় পর কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।

এরপর থেকেই পদবঞ্চিত ও আশানুরূপ পদ না পাওয়া নেতাকর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের জিরো পয়েন্টে অবস্থান নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক আটকে দিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্যাম্পাস অবরোধের ডাক দেন। এ সময় তারা ৫ দফা দাবি জানান।

সোমবার (১ আগস্ট) বিকেল ৩ টায় জিরো পয়েন্টে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান আন্দোলনকারীরা।

দাবিগুলো হলো: ১. মো. ইলিয়াসকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে আজীবন বহিস্কার করা। ২. পূর্ণাঙ্গ কমিটি বর্ধিতকরণ ৩. সকল অছাত্র, শিবির, বিএনপি-জামাত ও বিবাহিত কর্মীদের ঘোষিত কমিটি থেকে বাদ দেওয়া ৪. ৫০জন ত্যাগী, মেধাবী ও নিয়মিত ছাত্রদের কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করে আজকের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রদান ও ৫. পদবিতে সিনিয়র-জুনিয়র ক্রমিক ঠিক করা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠকালে আন্দোলনরত ছাত্রলীগ কর্মী মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বাংলা ও বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলনের পুরোধা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইউনিট চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। মৌলবাদী জামাত-শিবিরের ক্যান্টনমেন্টকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ছাত্রলীগের মিনি ক্যান্টনমেন্ট হিসেবে বিনির্মাণ করেছেন সেসব কর্মীদের বাদ দিয়ে বিবাহিত অছাত্র জামাত-শিবির ব্যাকগ্রাউন্ড কর্মীদের বিভিন্ন অপরাধীদের দিয়ে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।
৫ দফা দাবিতে এখনও অবরুদ্ধ চবি 1

আমরা এরই প্রতিবাদে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অবরোধের ডাক দিই। আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ অবরোধ কর্মসূচি চলমান থাকবে। এবং ইয়াবা ব্যবসায়ী ইলিয়াছকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবনের জন্য অবাঞ্চিত ঘোষণা করা হলো।

প্রসঙ্গত, এর আগে রোববার (৩১ জুলাই) রাত সাড়ে বারোটার দিকে দুই বছর আগে মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে যাওয়া চবি শাখা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের অফিসিয়াল প্যাডে ছাত্রলীগের ভেরিফাইড ফেইসবুক পেইজ থেকে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ৩৭৬ সদস্য বিশিষ্ট এ কমিটি ঘোষণা করা হয়। এই কমিটি ঘোষণার পর পরেই উত্তপ্ত হয়ে উঠে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। এসময় পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা আলাউল হল, এ এফ রহমান হল ও সোহরাওয়ার্দী হলের বেশ কয়েকটি কক্ষ ভাঙচুর চালায়।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।