৬ষ্ঠ বারের মতো সমাবর্তনের ঘোষণা দিলেন চবি উপাচার্য

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ৫ম সমাবর্তন আয়োজনের ব্যাপারে ৬ষ্ঠ বারের মতো ঘোষণা দিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার। মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে চলতি বছরই সমাবর্তন আয়োজনের কথা জানান তিনি।

উপাচার্য বলেন, আমাদের দীর্ঘদিন ধরে সমাবর্তন হচ্ছে না। তাই সমাবর্তনের জন্য কোনো বাজেট দেয়া হয়নি। সমাবর্তনের ডেইট পেলেই আমরা সেগুলো ঠিক করব। এ বাজেটটা আমরা কীভাবে করব তা নিয়ে আমাদের নিজস্ব কিছু চিন্তাভাবনা আছে। আমরা এ বছরের মধ্যেই সমাবর্তন করব, ইনশাআল্লাহ।

চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার এর আগেও বিভিন্ন সময় ৫ম সমাবর্তনের ঘোষণা দিয়েছিলেন। তবে তার কথার কোন বাস্তবতা পরিলক্ষিত হয়নি। আর তাই এই ঘোষণা কতটুকু আলোর মুখ দেখছে তা নিয়েও শিক্ষার্থীদের মনে শঙ্কা রয়েছে বলে অনেকে জানিয়েছেন।

জানা গেছে, ২০২০ সালের ২৯ জানুয়ারি সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় সমাবর্তনের ঘোষণা দেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার। পরের বছর ১৬ নভেম্বর চবির ৫৬তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপনের পরিকল্পনা জানানোর উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আবারও সমাবর্তনের ঘোষণা দেন উপাচার্য।

এরপর ২০২২ সালের ২৩ জুলাই ৩৪তম সিনেট সভার দ্বিতীয় অধিবেশনের প্রশ্নোত্তোর পর্বের এক পর্যায়ে আবারো ৫ম সমাবর্তনের ঘোষণা দেন ড. শিরীণ আখতার। একই বছর ১৭ নভেম্বর ৫৭তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ৫ম সমাবর্তনের আয়োজন করা হবে বলে জানান উপাচার্য। এরপর চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সাথে মতবিনিময়কালে ফের সমাবর্তনের ঘোষণা দেন তিনি।

তবে সর্বশেষ রোববার (৩০ জুলাই) অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৫তম সিনেট সভায় সমাবর্তনের প্রশ্নে চুপ ছিলেন তিনি।

প্রসঙ্গত, চবিতে সর্বশেষ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০১৬ সালের ৩১ জানুয়ারি। এতে ২০০৪ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত স্নাতক ও স্নাতকোত্তর এবং ২০০৮ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত পিএইচডি-এমফিলসহ বিভিন্ন পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা অংশ নেয়। রাষ্ট্রপতি ও আচার্য আব্দুল হামিদের সভাপতিত্বে ও সাত হাজার ১৯৪ শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে এটিই ছিল চবির সবচেয়ে বড় সমাবর্তন। এর আগে তৃতীয় সমাবর্তন হয় তারও আট বছর আগে ২০০৮ সালে। প্রথম সমাবর্তন হয় প্রতিষ্ঠার প্রায় ২৮ বছর পর ১৯৯৪ সালে এবং দ্বিতীয়বার সমাবর্তন হয় আরও পাঁচ বছর পর ১৯৯৯ সালে।

’৭৩-এর অধ্যাদেশে পরিচালিত অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গড়ে প্রায় দুই বছরে একবার, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে গড়ে ছয় বছরে ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ১০ বছরে একবার সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সেখানে চবিতে গড়ে ১৪ বছরে একবার সমাবর্তন হচ্ছে। এদিকে চট্টগ্রামের অনেক প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ও নিয়মিত সমাবর্তন আয়োজন করে চলেছে।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।