৬২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করলো ৪ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট

খাগড়াছড়ির দীঘিনালা সেনানিবাসে ৪ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট ‘দি বেবি-টাইগার্স’র ৬২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে রেজিমেন্টটির গৌরবময় ইতিহাস, স্বাধীনতা যুদ্ধে অবদান, পার্বত্য অঞ্চলে সন্ত্রাস দমন কার্যক্রম ও জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে তাদের সফলতা তুলে ধরা হয়।

রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টায় দীঘিনালা সেনানিবাসের খেলার মাঠে এক প্রীতিভোজের আয়োজন করা হয়। এতে রেজিমেন্টের বর্তমান ও সাবেক সেনা সদস্যরা, বিজিবি কর্মকর্তারা এবং স্থানীয় প্রশাসনের ব্যক্তিরা অংশগ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানে মেজর সাব্বির লিখিত বক্তব্যে বলেন, ১৯৬৩ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে প্রতিষ্ঠিত হয় ৪ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট। ১৯৬৫ সালের পাক-ভারত যুদ্ধে এবং ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে বেঙ্গলটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। মুক্তিযুদ্ধের সময় এটি কে-ফোর্সের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে গঙ্গাসাগর, কসবা, বিলোনিয়া ও সালদা নদী যুদ্ধে অংশ নেয়।

তিনি আরও জানান, গঙ্গাসাগর যুদ্ধে অসামান্য বীরত্ব প্রদর্শনের জন্য শহীদ সিপাহী মোহাম্মদ মোস্তফা কামালকে ‘বীরশ্রেষ্ঠ’ খেতাবে ভূষিত করা হয়। এছাড়া, এই রেজিমেন্টের ৮ জনকে ‘বীর বিক্রম’, ৬ জনকে ‘বীর উত্তম’ এবং ২৪ জন সেনা সদস্যকে ‘বীর প্রতীক’ খেতাবে ভূষিত করা হয়েছে।

স্বাধীনতা যুদ্ধের পর, পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় এই রেজিমেন্টের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সর্বশেষ, ২০২২ সালের ১৫ মে সপ্তমবারের মতো দীঘিনালা সেনানিবাসের দায়িত্ব গ্রহণ করে ৪ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ৪ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের অধিনায়ক লে. কর্নেল ওমর ফারুক, ৬ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. খায়রুল আমিনসহ বিজিবির বিভিন্ন রেজিমেন্টের অধিনায়কগণ। এছাড়া, দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মামনুর রশীদ, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জাকারিয়া, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক, গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য এবং সেনা ও বিজিবি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের শেষে রেজিমেন্টের সদস্যদের মধ্যে কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।