৯২ শতাংশ কাজ শেষ, চট্টগ্রাম-কক্সবাজারে ট্রেন ২ নভেম্বর: রেলমন্ত্রী

রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন জানিয়েছেন, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথের ৯২ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। আগামী ২ নভেম্বর এ পথে পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চালানো হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে ১২ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ট্রেন চলাচলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন

সোমবার (১৬ অক্টোবর) বিকালে কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের চাঁদের পাড়ায় নির্মিত আইকনিক রেলওয়ে স্টেশন পরিদর্শন শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। মন্ত্রী এদিন মোটর ট্রলিতে করে দোহাজারী স্টেশন থেকে কক্সবাজার রেললাইন পরিদর্শন করেন। এর আগে সকালে তিনি কালুরঘাট সেতুর সংস্কারকাজ পরিদর্শন করেন।

রেলমন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পটির সর্বশেষ অগ্রগতি দেখার জন্য এসেছি। আশা করছি ৩০ অক্টোবরের মধ্যে এই প্রকল্পটির অবশিষ্ট কাজ শেষ হবে। দুয়েকটা স্টেশনের কাজ হয়তো বাকি থাকবে। তবে রেল চলাচলের জন্য উপযোগী হবে। আমরা মোটর ট্রলি করে এখান থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত যাব।

তিনি বলেন, এখন মানুষ বিমানে-সড়ক পথে কক্সবাজার যায়। মানুষের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা ট্রেনে করে কক্সবাজার যাবে। সারাদেশের মানুষের এই রেলপথ নিয়ে আগ্রহ ট্রেন যোগাযোগ ব্যবস্থা সবসময় সাশ্রয়ী নিরাপদ আরামদায়ক। পর্যটন নগরী কক্সবাজারের সঙ্গে উন্নত যাত্রীবাহী কোচ দেওয়ার মতো করে উপযোগী করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের ইঞ্জিনটি ১২ টনের। কিন্তু কালুরঘাট সেতু অনেক ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। এটার সক্ষমতা যাতে বাড়ানো যায়, সে কারণে প্রকল্প গ্রহণ করে সংস্কাকাজ চলছে। এই ব্রিজটি বাদ দিয়ে নতুন একটি ব্রিজ কালুরঘাটে হবে। যেটি এ অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি। আমরা আশা করছি, আগামী বছর এ নতুন সেতুর আনুষ্ঠানিকভাবে নির্মাণ কাজ শুরু হবে। ডাবল লেইন মিটারগেজ এবং ফোর লেইনের সড়ক থাকবে একই ব্রিজের ওপর। কাজেই সেটি না হওয়া পর্যন্ত এই ব্রিজটি যেন আমরা ব্যবহার করতে পারি, সেভাবেই এটি তৈরি করা হচ্ছে। ২ নভেম্বর আমরা এখানে আসব এবং ট্রায়াল রান করব।
৯২ শতাংশ কাজ শেষ, চট্টগ্রাম-কক্সবাজারে ট্রেন ২ নভেম্বর: রেলমন্ত্রী 1

প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার রেললাইন প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল দোহাজারী-রামু-কক্সবাজার পর্যন্ত মিটারগেজ রেলপথ নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্যে চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে রামু পর্যন্ত ৮৮ কিলোমিটার এবং রামু থেকে কক্সবাজার ১২ কিলোমিটার।

শুরুতেই এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ১ হাজার ৮৫২ কোটি টাকা। ২০১৬ সালে প্রকল্প প্রস্তাব সংশোধন করে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। এতে অর্থায়ন করেছে এশিয়ান ব্যাংক ও বাংলাদেশ সরকার। এটি সরকারের অগ্রাধিকার (ফাস্ট ট্র্যাক) প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।