চবির আবাসিক হল— অছাত্রদের বের করে দেওয়া হবে আসন বরাদ্দ

দীর্ঘ পাঁচ বছর পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) আবাসিক হলসমূহে আসন বরাদ্দ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। অছাত্র ও বহিরাগতদের প্রতিটি আবাসিক হল থেকে বের করে দিয়ে নতুন করে আসন বরাদ্দ দেবে বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে। শিগগিরই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে আসন বরাদ্দের প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।

রোববার (১৩ মার্চ) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্বিবদ্যালয় রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক এসএম মনিরুল হাসান। তিনি বলেন, গত বৃহস্পতিবার রাতে বিভিন্ন হলের প্রভোস্টদের সাথে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সব হল থেকে অছাত্র ও বহিরাগতদের বের করে নতুন করে আসন বরাদ্দের সিদ্ধান্ত হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শীঘ্রই এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

প্রসঙ্গত, সর্বশেষ ২০১৭ সালের জুনে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে আসন বরাদ্দ দেয় তৎকালীন তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী প্রশাসন। সে সময় ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষ থেকে শুরু করে ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের আসন বরাদ্দ দেয়া হয়৷ এদের মধ্যে ২০১৬-১৭ ও ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের ২৫ শতাংশ আসন বরাদ্দ দেয়া হয়। বর্তমানে ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা মাস্টার্সে অধ্যয়নরত। বাকি শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষা জীবন শেষ করে হল ছেড়েছেন। সে হিসেবে বর্তমানে হলের আবাসিক শিক্ষার্থীর সংখ্যা হাতেগোনা কয়েকজন।

এছাড়াও, ২০১৭ সালের পর ২০১৯ সালের মার্চে হলগুলোতে পুনরায় আসন বরাদ্দের বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়৷ এসময় আবেদন ফরম কেনেন প্রায় পাঁচ হাজার শিক্ষার্থী। তবে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের তিন মাস পরে তৎকালীন উপাচার্যের মেয়াদ শেষ হলে উপাচার্যের দ্বায়িত্ব পান অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার। তিনি দায়িত্ব পাওয়ার পর হলগুলোতে আসন বরাদ্দের ভাইভার তারিখ কারণ উল্লেখ না করেই পর পর দুইবার স্থগিত ঘোষণা করা হয়। এরপর আরও এক দফা আসন বরাদ্দের বিজ্ঞপ্তি দিলেও তারও ভাইভা হয়নি এখনো পর্যন্ত।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।