অপরাধ করে কেউই রেহাই পাবে না—আইজিপি

পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, কোনও অপরাধ করে কেউই রেহাই পাবে না। অপরাধী যে কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে, তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। বুধবার (৩ মে) উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের একথা বলেন।
কক্সবাজারে ট্রলারে ১০ জেলে নিহতের বিষয়ে তিনি বলেন, ঘটনাটি জানতে পেরে আমি রেঞ্জ ডিআইজিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শনের নির্দেশ দিয়েছি। এছাড়া সেখানে সিআইডি (অপরাধ তদন্ত বিভাগ) ও পিবিআই (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন) টিম পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।

আইজিপি বলেন, পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি নিয়েছে, তদন্ত চলছে। কোন ধরনের অপরাধ সংঘটিত হলে যত দ্রুত সম্ভব নিকটস্থ পুলিশ ইউনিট অথবা জাতীয় জরুরি সেবা- ৯৯৯ কল করে পুলিশকে অবহিত করতে তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে কাজ করে যাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী সুন্দরবনকে জলদস্যুমুক্ত করার ঘোষণা দিলে র‌্যাব জলদস্যুদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে সুন্দরবনকে জলদস্যুমুক্ত করতে সক্ষম হয়েছে। যেসব জলদস্যু আত্মসমর্পন করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে চায়, তাদেরকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার সুযোগ দেয়া হবে।

তিনি বলেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা দেশব্যাপী মাদক ও মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে। আন্তর্জাতিক বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান আগের অবস্থানের তুলনায় অনেক উন্নত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই সাফল্য এসেছে।

এর আগে, আইজিপি কক্সবাজার এপিবিএন-এ কর্মরত কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করেন। তিনি ঘোনারপাড়া পুলিশ ক্যাম্প পরিদর্শন করেন এবং সেখানে একটি চারাগাছ রোপন করেন। এ সময় আইজিপির সাথে এপিবিএন এর অতিরিক্ত আইজিপি ড. হাসান উল হায়দার, অতিরিক্ত আইজিপি মো. আতিকুল ইসলাম, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন, কক্সবাজার জেলা সুপারিন্টেন্ডেন্ট মো. মাহফুজুল ইসলাম ও অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।