অপহরণের এক সপ্তাহ পরে উদ্ধার ইটভাটার তিন শ্রমিক

রাঙামাটির কাউখালী থেকে অপহৃত ইটভাটার ৩ শ্রমিককে এক সপ্তাহ অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার সকালে চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানার চৌধুরী হাট এলাকা থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। সোমবার (২ জানুয়ারি) বিকালে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

উদ্ধারকৃতরা হলেন- মোসলেম উদ্দিন (৪২), আহসান উল্ল্যাহ (৪৫) ও মো. জিয়াউর রহমান জিকু (২৮)। এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মারুফ আহমেদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. জাহেদুল ইসলাম, কাউখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পারভেজ আলীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

পুলিশ জানায়, জেলার কাউখালী উপজেলায় কলমপতি ইউনিয়নের তারাবুনিয়া এলাকায় এম এন সি ইট ভাটার মালিক মো. ফারুক গেল ৩০ ডিসেম্বর তার ইটভাটা হতে ৩ শ্রমিককে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করা হয়েছে মর্মে কাউখালী থানায় এজাহার দায়ের করেন। এরপরে পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে সন্ত্রাসীরা ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে। পরে পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে গত ৩১ ডিসেম্বর মধ্যরাতে ঘটনার সঙ্গে জড়িত ২ আসামিকে লিচুবাগান থেকে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন খাগড়াছড়ি বিনাজুরি পাড়া গ্রামের আদ্যায়ং মারমার ছেলে ক্যামং মারমা (২২) এবং বান্দরবান রোয়াজাপাড়া গ্রামের মংলু মারমার ছেলে উক্যাওয়াই মারমা (২০)।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মারুফ আহমেদ জানান, ‘আমরা বিষয়টি জানার পর থেকেই রাঙামাটি জেলা পুলিশের সহায়তায় কাউখালী থানা পুলিশ অপহৃতদের উদ্ধারে মাঠে নামি। সবার অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে অপহৃতদের দ্রুত উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি। এ ছাড়া গ্রেফতার দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, আমরা তাদের রিমান্ড চেয়েছি।’

কাউখালী থানার অফিসার ইনচার্জ পারভেজ আলী বলেন, ‘মামলা হওয়ার পর থেকেই আমরা অপহৃতদের উদ্ধারে তৎপর হয়ে উঠি। আমরা তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে অপহরণকারীদের অবস্থান চিহ্নিত করি। তারা বারবার তাদের অবস্থান পরিবর্তন করছিল। এর ফলে তাদের আটক করতে একটু সময় লেগে গেছে।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।