অর্থ উপার্জনে যারা দলে আসতে চায় তাদের দরকার নেই— তথ্যমন্ত্রী

রাঙ্গুনিয়ার সাংসদ তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘আমরা ক্ষমতায় আসার পর এখন সবাই আওয়ামী লীগের নৌকায় উঠতে চায়ে। নৌকায় সব সময় বেশি মানুষ নিতে নাই। নৌকায় বেশি মানুষ নিলে নৌকা বিপদাপন্ন হয়। অবশ্যই আওয়ামী লীগ কোন বদ্ধ জলাশয় নয়। আওয়ামী লীগ একটি গনসংগঠন। আমাদের দলে যে কেউ যোগ দিতে পারে, তবে আমরা যে কাউকে নৌকায় নিতে পারি না। পীঠ বাচানোর জন্য আওয়ামী লীগ করে এবং আওয়ামী লীগে আসতে চায় তাদের দরকার নাই। যারা অর্থ উপার্জনের জন্য আওয়ামী লীগে আসতে চায় তাদের দরকার নাই।

মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) সন্ধায় রাঙ্গুনিয়া পৌরসভা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথি বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। রাঙ্গুনিয়া পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাস্টার মো.আসলাম খানের সভাপতিত্বে উদ্বোধক ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও ত্যাগী এই নেতা বলেন, ‘আমরা যখন ক্ষমতায় ছিলাম না তখন রাঙ্গুনিয়ায় একটি বিশেষ পরিবার ক্ষমতায় ছিলো। সে সময় বহু নেতাকর্মী জেল জুলুম সহ্য করে আওয়ামী লীগের পতাকাকে সমোজ্জল রেখেছে। তবে অনেক বড় বড় নেতাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। কিন্তু তৃণমূলের নেতাকর্মীরা সবসময় সাথে এবং পাশে ছিলেন।’

মন্ত্রী বলেন, ১৪ বছর আগে রাঙ্গুনিয়ায় শুধু পৌরসভাতে বিদ্যুৎ ছিলো। আর দুই একটি ছিটেফোঁটা জায়গায় বিদ্যুৎ ছিলো। তখন পৌরসভায় বিদ্যুৎ কানেকশন থাকলেও বিদ্যুৎ মাঝেমধ্যে আসতো। ২৪ ঘন্টার মধ্যে ৪/৫ ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকতো, আবার মাঝেমধ্যে আসতো সারাদিন থাকতো না। তখন রাঙ্গুনিয়া চাহিদা ছিলো মাত্র ৪ মেগাওয়াট। আর বর্তমানে রাঙ্গুনিয়া চাহিদা ২০ মেগাওয়াট। কোথায় ৪ মেগাওয়াট থেকে ২০ মেগাওয়াটে দাঁড়িয়েছে। এখন গ্রামের প্রত্যেকটি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ। বাংলাদেশ আজকে দক্ষিন এশিয়ার প্রথম দেশ যে দেশে আজকে শতভাগ বিদ্যুৎতায়িত এলাকা করতে পেরেছি। আর তা হয়েছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। আমরা যখন ২০০৮ সালে নির্বাচন করি আমার গ্রামে আমার বাড়িতেও বিদ্যুৎ ছিলো না। সোলার প্যানেল লাগিয়ে ২টা লাইট ২টা ফেন চালাতাম। নির্বাচনের পরে আমার বাড়িতে বিদ্যুৎ আসে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘২০০৭ ও ২০০৮ সালে যখন দেশে সেনা সমর্থিত তত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতা দখল করে, যখন রাজনীতিকে শিকল পড়িয়ে দেওয়া হয়, ,রাজনীতিকে বাক্সবন্দী করা হয়। আমাদের নেত্রীর চলাচলের ওপর যখন নানা ধরনের বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। তখন আমাদের নেত্রীকে ছেড়ে অনেক নেতা বেসুরে কথা বলেছেন। নেত্রীর সাথে অনেকেই তখন থাকেন নাই, অনেকেই দলের নেতৃত্বের বিপক্ষে কথা বলেছেন। কিন্তু তৃণমূলের নেতাকর্মীরা শেখ হাসিনার সাথে ছিলেন এবং তাঁদের কারনে কারাগার থেকে আমাদের নেত্রীকে মুক্ত করতে সক্ষম হয়েছি।’

সাধারণ সম্পাদক মো. সেলিমের সঞ্চালনায় প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার। বিশেষ অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদার, উত্তরজেলা আ.লীগের সহ-সভাপতি আবুল কাশেম চিশতি, পৌরসভা মেয়র শাহাজাহান সিকদার, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আলী শাহ, ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম তালুকদার, ইদ্রিচ আজগর, গিয়াস উদ্দিন খান স্বপন, মো. সেলিম, ইফতেখার হোসেন বাবুল, কামরুল ইসলাম চৌধুরী, বেদারুল আলম চৌধুরী, মো.আকতার হোসেন খান, জাহেদুল আলম চৌধুরী আইয়ুব, ইউপি চেয়ারম্যান শেখ ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী, সফিউল আলম শফি প্রমুখ।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।