আওয়ামী লীগের সম্মেলনে হামলার ঘটনায় তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা

একের পর এক সম্মেলন নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে চট্টগ্রামের কর্ণফুলীর বড়উঠান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। এসব সম্মেলনে নেতাকর্মীদের মিছিলে বাধা, স্লোগান ও বক্তব্যে বাধা দেওয়ার ঘটনাও ঘটছে। তারই জেলে হামলা-মামলার ঘটনাও ঘটছে।

গত শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বড়উঠান ইউনিয়নের শাহমীরপুর দারগার হাট এলাকায় সভাপতি আমজাদ হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল মন্নান খান সঞ্চালনায় আয়োজিত বড়উঠান ইউনিয়নের ৪, ৫, ৬ ও ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্মেলনে হামলা ও এক যুবককে ব্লেডের আঘাতের ঘটনায় তিনজনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন উপজেলা যুবলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মো. মনির উদ্দিন।

রবিবার রাতে কর্ণফুলী থানায় বড়উঠান এলাকার মো. আসিফ (২৫), মো. পারভেজ ও মো. আতিকুর রহমানকে (২৪) আসামী করে এ মামলা দায়ের করেন তিনি।

মামলার অভিযুক্তরা বড়উঠান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মান্নান খানের অনুসারী বলে জানিয়েছেন মামলার বাদী যুবলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মো. মনির উদ্দিন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বড়উঠান ইউনিয়নের শাহমীরপুর দারগার হাট এলাকায় আয়োজিত বড়উঠান ইউনিয়নের ৪, ৫, ৬ ও ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্মেলনে আহত তুষারসহ নেতাকর্মীদের নিয়ে মিছিল সহকারে যোগদান করেন উপজেলা যুবলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মো. মনির উদ্দিন। সম্মেলন চলাকালে অভিযুক্তদের সঙ্গে তার ঘটে হাতাহাতির ঘটনা। পরে বিষয়টি সেখানে সমাধা করেন সকলের উপস্থিতিতে। সম্মেলন শেষে আহত তুষার বাড়ি ফেরার পথে হামলা করে করে মারধর ও তার পেটে ব্লেডের আঘাত করা হয়। আহতের আত্মচিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত হামলাকারীরা। পরে তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে মেডিকেলে নিয়ে যান স্থানীয়রা।

মামলার বাদী উপজেলা যুবলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মো. মনির উদ্দিন জানান, অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান অতিথি বক্তব্য দিচ্ছেন এমন সময় আমি মঞ্চের পিছনে দাঁড়িয়ে আছি। মঞ্চ থেকে ধাক্কা দিয়ে নিচে পেলে আমার ওপর হামলা করে। এসময় আমার নেতাকর্মী এগিলে আসলে আমি রক্ষা পাই। ওই সময় অতিথির মাইকের ডাক দেয়ার পর শান্ত হন তারা। পরে আমি নিজেই মঞ্চে উঠে অতিথির কাছ থেকে মাইক নিয়ে আমার নেতাকর্মীসহ সকলকে শান্ত থাকার জন্য অনুরোধ করি। সম্মেলন শেষে সবার চলে যাওয়ার পর আমার ভাগিনা তুষার বাড়ি ফেরার পথে মো. আসিফ (২৫), মো. পারভেজ ও মো. আতিকুর রহমান মিলে (২৪) তুষারকে মারধর করে এবং পেটে ব্লেডের আঘাত করে। স্থানীয়দের সহযোগিতার তাকে মেডিকেল নিয়ে গেলে প্রাণে রক্ষা পায় সে।

জানতে চাইলে বড়উঠান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মান্নান খান বলেন, আমাদের সম্মেলন কোনো ঘটনা ঘটেনি। এটা সম্মেলন শেষে দুই গ্রুপের মধ্যে ঘটেছে বহিরাগতদের সঙ্গে একটু ঝামেলা হয়েছে। তবে আমার লোকদের ষড়যন্ত্র করে মামলার আসামী করছে।

কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল মাহমুদ বলেন, এঘটনায় থানায় মনির উদ্দিন নামে যুবলীগের এক নেতা বাদী থানায় তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনার জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে পুলিশ।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।