আগুনের লেলিহান শিখায় সর্বহারা বাইট্টাপাড়া বাজার, পুড়েছে ৩১ দোকান

রাঙামাটির লংগদুর বাইট্টাপাড়া বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুনে পুড়ে প্রায় ৩ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। প্রাথমিভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের মাধ্যমে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে।

শনিবার (২১ জানুয়ারি) বিকাল ৫টায় দিকে এ ঘটনা ঘটে। আগুনে ছোট বড় ৩১টি দোকান সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়েছে। যৌথ বাহিনী ও জনসাধারণের প্রচেষ্টায় দীর্ঘ ২ঘন্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

স্থানীয়রা জানান, সন্ধ্যায় হঠাৎ করেই বাজারে আগুন লেগে যায়। আগুনের লেলিহানে শিখায় পুড়তে থাকে দোকানপাট। পরে দীঘিনালা থেকে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।

বাজার কমিটির সভাপতি সোহরাব হোসেন বলেন, ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। আগুনে পুড়ে যাওয়া দোকানের মধ্যে বেশির ভাগ ছিল ফার্নিচারের কারখানা। এতে প্রায় তিন কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।

মাইনী ইউপি চেয়ারম্যান কামাল হোসেন কমল বলেন, আগুন লাগার সাথে সাথেই আমরা ঘটনাস্থলে এসে দেখি আগুন বিভিন্ন দোকানে ছড়িয়ে পড়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে সকলে মিলে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করি।

দীঘিনাল ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের দলনেতা সব্যসাচী বড়ুয়া বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসি। আমরা যাওয়ার কিছুক্ষণ পর খাগড়াছড়ি থেকে আরেকটি ইউনিট কাজে যোগ দেওয়ায় অগ্নিনির্বাপন দ্রুত সম্ভব হয়েছে।

বাইট্টাপাড়া ৩৬ আনসার ব্যাটালিয়নের দলনেতা বলেন, আগুনের সূত্রপাত হওয়ার অল্প সময়ের মধ্যেই আমরা আগুন নিয়ন্ত্রণে ও উদ্ধার কাজে এগিয়ে আসি এবং শুরু শেষ পর্যন্ত ব্যাটালিয়েন সকল সদস্য দায়িত্ব নিয়ে কাজ করেছেন। ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য আমাদের পক্ষ থেকে সহযোগিতা থাকবে।

লংগদু থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ ইকবাল উদ্দিন বলেন, সংবাদ পেয়ে ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে চলে আসি এবং সকলের সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। তবে অগ্নিকান্ডে কেউ নিহত হয়নি। একজন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

অগ্নিকান্ড নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বদানকারী লংগদু জোন অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. হিমেল মিয়া বলেন, যে পরিমাণে আগুন লেগেছে তা তাৎক্ষণিক নিয়ন্ত্রণে আনা কষ্টসাধ্য। তবুও আমাদের যতটুকু অগ্নিনির্বাপক সরঞ্জাম রয়েছে তা দিয়েই সেনাবাহিনীর সদস্যরা সর্বোচ্চ চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
তিনি আরও বলেন, অন্যান্য বাজারের ন্যায় বাইট্টাপাড়া বাজারে অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা না থাকায় ক্ষয়ক্ষতি বেশি হয়েছে। আমি সেনা জোনের উদ্যোগে ব্যবসায়ী ও স্থানীয় তরুণদের অগ্নিনির্বাপক (মহড়া) প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবো। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, যতদ্রুত সম্ভব লংগদু ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কার্যক্রম চালু করবো।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।