আজাদী সম্পাদকের বিশ্বাসের মূল্য ‘প্রতারণায় দেওয়া’ জামিলের ঠিকানা কারাগার

স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম দৈনিক খ্যাত চট্টগ্রামের আঞ্চলিক পত্রিকা দৈনিক আজাদীর সম্পাদক এম এ মালেকের শেয়ার ব্যবসায়ের বিও হিসাব পরিচালনা করতেন এস এম জামিল উদ্দিন। দীর্ঘদিনের সম্পর্কের জেরে গড়ে উঠে বিশ্বস্ততা। কিন্তু একুশে পদকপ্রাপ্ত এ সাংবাদিকের বিশ্বাসের মূল্য প্রতারণায় দিলেন এস এম জামিল উদ্দিন।
আজাদী সম্পাদকের শেয়ার হিসাবের (বিও অ্যাকাউন্ট) বিপরীতে ১ কোটি ৭৫ লাখ ২৮ হাজার ২৮৫ টাকা, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জালিয়াতির মাধ্যমে ৫৮ লাখ ৯৫ হাজার টাকা এবং নগদ ১০ লাখ টাকা মিলে ২ কোটি ৪৪ লাখ ২৩ হাজার ২৮৫ টাকা আত্মসাৎ করেন এস এম জামিল।

২০২১ সালের ৭ জুলাই জামিলসহ তার আরও দুই সহযোগীর বিরুদ্ধে এম এ মালেকের পক্ষে কোতোয়ালী থানায় দায়ের করা হয় অর্থ আত্মসাতের মামলা। তার পরপরই গা ঢাকা দেন জামিল। কিন্তু বিধি বাম। বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাবার সময় সম্প্রতি ঢাকা বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন জামিল।
সোমবার (৯ জানুয়ারি) আড়াই কোটি টাকা আত্মসাৎ মামলায় গ্রেফতার এস এম জামিল উদ্দিনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ড. বেগম জেবুন্‌নেছার আদালত এ আদেশ দেন।

সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে এ মামলার আসামী এস এম জামিল উদ্দিনের পক্ষে আসামী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট কফিলউদ্দিন চৌধুরী জামিনের আবেদন করলে তার বিরোধিতা করেন বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জিয়া হাবীব আহসান অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস। এসময় রাষ্ট্রপক্ষের পিপি অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আবদুর রশিদও এ জামিন আবেদনের বিরোধিতা করেন।

এ বিষয়ে অ্যাডভোকেট জিয়া হাবীব আহসান বলেন, ‘আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক একজন স্বনামধন্য সাংবাদিক। তিনি আসামি এস এম জামিল উদ্দীনকে বিশ্বাস করে তার শেয়ার ব্যবসায়ের বিও হিসাব পরিচালনার দায়িত্ব দেন। এ সুযোগে জামিল প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে বিও হিসাবের শেয়ার ট্রান্সফার, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জালিয়াতির মাধ্যমে এবং নগদসহ প্রায় দুই কোটি ৪৪ লাখ টাকার বেশি আত্মসাৎ করেছেন। সোমবার আদালতে তার জামিন আবেদন করেন তার আইনজীবী। আমরা এবং রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধীতা করেছি। আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন।’

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।