আত্মসমর্পন করেও দস্যূতা ছাড়েনি, র‌্যাবের জালে কামাল

চট্টগ্রাম নগরীর ইপিজেড থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে চার সহযোগীসহ জলদস্যু কামাল বাহিনীর প্রধান কামালকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। জলদস্যূতা ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার অঙ্গিকার নিয়ে কামাল অস্ত্র জমা দিয়ে নোয়াখালীতে আত্মসমর্পনও করেছিল। কিন্তু জলদস্যূ জসিমের মৃত্যুর পর সেই বাহিনীর নেতৃত্ব নেয় কামাল।

বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-৭এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এমএ ইউসুফ বিষয়টি জানান। তাদেরকে মঙ্গলবার ইপিজেড থানার আকমল আলী রোডের একটি ভবনের দ্বিতীয় তলা থেকে গ্রেফতার করা হয়। একইসঙ্গে অপহৃত চার জেলেকেও উদ্ধার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- নোয়াখালীর সুবর্ণচরের মো. কামাল (৩৫), মো. নূর নবী (২৬), লক্ষীপুরের রামগতির মো. শামীম (২৪), মো. অ্যানি (৩১) ও ফেরদৌস মাঝি (৩৫)। এ সময়ে একটি একনলা বন্দুক, দুটি ওয়ান শুটার গান, তিনটি রামদা, তিনটি চাপাতি ও একটি ধারালো চাকুসহ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল এমএ ইউসুফ বলেন, কয়েকদিন আগে বঙ্গোপসাগরের চট্টগ্রাম-হাতিয়া চ্যানেলে একদল জেলে অপহৃত হয়। এরপর গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে টানা ৭২ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে চার সহযোগীসহ জলদস্যু নেতা কামালকে আটক করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হচ্ছে।

র‌্যাব জানায়, ১১ ফেব্রুয়ারি বঙ্গোপসাগরের চট্টগ্রাম-হাতিয়া চ্যানেলে মাছ ধরা অবস্থায় একটি কাঠের ট্রলারসহ কয়েকজন জেলেকে অপহরণ করে একদল জলদস্যু। কোস্ট গার্ড সূত্রে সংবাদটি পেয়ে অভিযানে নামে র‌্যাব। একপর্যায়ে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় জলদস্যু নেতা কামালের অবস্থান ইপিজেড থানা এলাকায় শনাক্ত করা হয়। পরে সেখানে অভিযান চালিয়ে মোট পাঁচ জলদস্যুকে আটক করা হয়।

র‌্যাব-৭ এর উপ-অধিনায়ক মেজর মোস্তফা জামান বলেন, কামালই মূলত অপকর্মের পরিকল্পনা এবং ভুক্তভোগীদের আত্মীয়-স্বজনের কাছ থেকে বিকাশ ও নগদের মাধ্যমে টাকা আদায় করতেন। তার নামে বিভিন্ন থানায় অস্ত্র ও ডাকাতিসহ একাধিক মামলা রয়েছে। কামালের দলের সদস্য নূর নবী টাকা পয়সা আদায় সংক্রান্তে তথ্য আদান-প্রদান ও তাদের খাবার সরবরাহ করতেন।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কামাল নোয়াখালীতে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পন করেছিল। কিন্তু স্বাভাবিক জীবনে ফিরেনি। মূলত তার ওস্তাদ জলদস্যূ জসিম মারা যাওয়ার পর জসিমের বাহিনীর নেতৃত্বে দেয় কামাল। আমরা জলদসূদের থানায় হস্তান্তরের প্রস্তুতি নিচ্ছি।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।