আত্মহত্যা করেছিলেন দিয়াজ!

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ছাত্রলীগ নেতা দিয়াজ ইরফান চৌধুরীর মৃত্যুকে ‘আত্মহত্যা‘ বলে উল্লেখ করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এর আগে পুলিশ এবং চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের চিকিৎসকদের দেওয়া প্রথম ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে ঘটনাটিকে ‘আত্মহত্যা’ উল্লেখ করা হয়।

বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম জেলা কোর্ট (প্রসিকিউশন) শাখার পরির্দশক জাকির হোসাইন মাহমুদের কাছে এই চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি চট্টগ্রাম জেলার সহকারী পুলিশ সুপার আবদুস সালাম মিয়া।

বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রসিকিউশন শাখার পরিদর্শক জাকির হোসেন মাহমুদ বলেন, দিয়াজ ইরফান চৌধুরী হত্যা মামলায় আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। আগামী সপ্তাহে তা আদালতে উত্থাপন করা হবে।

দিয়াজ ইরফান চৌধুরী বড় বোন অ্যাডভোকেট জোবাইদা সরোয়ার নিপা বলেন, দিয়াজ হত্যা মামলা আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে শুনে আমি জিআরও কাছে গিয়ে ছিলাম। জিআরও এই বিষয়ে জানে না বলেছেন। মামলায় যদি চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিয়ে থাকে অবশ্যই আদালতে নারাজি দেওয়া হবে।

এদিকে চূড়ান্ত প্রতিবেদনে মামলার আসামি বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন সহকারী প্রক্টর আনোয়ার হোসেন, চবি ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি আলমগীর টিপু, সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবুল মনসুর জামশেদ, সিনিয়র সহ সভাপতি মনসুর আলম, সহ সভাপতি আবদুল মালেক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু তোরাব পরশ, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ আরমান, প্রচার সম্পাদক সম্পাদক রাশেদুল আলম জিসান ও অপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক মিজানুর রহমান ও আরিফুল হক অপুর অব্যাহতি চাওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ২০ নভেম্বর রাতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) দক্ষিণ ক্যাম্পাসে নিজের বাসা থেকে উদ্ধার হয় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সম্পাদক ও বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক দিয়াজ ইরফান চৌধুরীর ঝুলন্ত মরদেহ। ২৩ নভেম্বর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের চিকিৎসকদের দেওয়া প্রথম ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে ঘটনাটিকে আত্মহত্যা উল্লেখ করা হলে ২৪ নভেম্বর দিয়াজের মা জাহেদা আমিন চৌধুরী বাদি হয়ে আদালতে হত্যা মামলা করেন।

জাহেদা আমিনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত দিয়াজের মরদেহ কবর থেকে তুলে পুনরায় ময়নাতদন্তের আদেশ দেন। ২০১৬ সালের ১০ ডিসেম্বর মরদেহ তুলে দ্বিতীয় দফা ময়নাতদন্ত করে ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগ। ২০১৭ সালের ৩০ জুলাই ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, দিয়াজের শরীরে আঘাতজনিত জখমের মাধ্যমে হত্যার আলামত আছে। এর প্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশে হাটহাজারী থানায় হত্যা মামলা রেকর্ড হয়।