আনোয়ারায় শিক্ষকের লাশ সৎকারে বাধা, স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেওয়া অভিযোগ

চট্টগ্রামের আনোয়ারার চাতরী ইউনিয়নের কৈনপুরায় দুলাল চন্দ্র দত্ত নামে এক প্রবীণ শিক্ষকের লাশ সৎকারে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তার ভাইদের বিরুদ্ধে। এছাড়া ৫টি খালি স্ট্যাম্পে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নিয়ে নেওয়ার অভিযোগও রয়েছে।

রোববার (৫ মার্চ) দুপুরে উপজেলার আনোয়ারা সরকারি কলেজ এলাকায় এসব অভিযোগ তুলে ধরেন সংবাদ সম্মেলন করেন নিহতের সন্তানরা।

সংবাদ সম্মেলনে দুলাল চন্দ্র দত্তের মেয়ে অনুরুপা দত্ত, ছেলে রাজন কান্তি দত্ত ও বিপ্লব দত্তসহ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

লিখিত বক্তব্যে লায়ন রঞ্জন কান্তি দত্ত বলেন, গত ১৮ জানুয়ারি মারা যাওয়ার পর লাশ সৎকারের জন্য পরদিন সকালে শ্মশানে নেওয়ার পথে আমার বাবার আপন ভাই অশোক কুমার দত্ত ও পঞ্চানন দত্ত, বিশ্বরূপ দত্ত, অশোক দত্ত, সুরজিত দত্ত সৈকত, পংকজ দত্ত, সুশান্ত দত্ত, প্রণতোষ দত্ত, ভাস্কর দত্তসহ বেশ কয়েকজন লোক এসে মারধর করে ৫টি খালি স্ট্যাম্পে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নিয়ে নেন। এ ঘটনায় গত ১১ ফেব্রুয়ারি নগরীর চকবাজার থানায় তাদের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগও করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত মৃতের ভাই অশোক কুমার দত্ত অস্বীকার করে বলেন, সে আমার আপন ভাই। আমার পিতার সম্পত্তি আমরা ভাইরা সমান ভাগে ভোগ দখলে রয়েছি। খালি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেওয়া এবং লাশ সৎকারে বাধা সবই মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ তাদের। সেদিনের ঘটনা স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ স্থানীয়রা দেখেছেন।

চাতরী ইউনিয়নের ইউপি সদস্য নিতাই চন্দ্র বলেন, প্রবীণ শিক্ষকের মৃত্যুর ঘটনার পর আমি সেখানে গিয়েছিলাম। দুই পরিবারের মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধ চলছে দীর্ঘদিন ধরে। এটা নিয়ে সেদিনও কথাকাটাকাটি হয়েছিলো তবে খালি স্ট্যাম্পে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নেওয়ার বিষয়ে আমি কিছু জানি না।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।