আবারও আন্দোলনে চবি চারুকলা শিক্ষার্থীরা

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা আবারও আন্দোলনে নেমেছেন। প্রশাসনকে বেঁধে দেওয়া সাতদিনের সময় শেষ হওয়ার পরেও দৃশ্যমান কোনো সংস্কার ও আবাসন ব্যবস্থা না করায় পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ইনস্টিটিউট অবরুদ্ধ করেছেন তারা। ফলে আবারও অচল হয়ে পড়েছে ইনস্টিটিউট।

চারুকলা ইনস্টিটিউটের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘শিক্ষামন্ত্রী ও জেলা প্রশাসকের আশ্বাসে আমরা ক্লাসে ফিরেছিলাম। তবে আমাদের দাবি পূরণে দৃশ্যমান কোনো কার্যক্রম শুরু না হলে আবারও আন্দোলনে যাব বলে ঘোষণা দিয়েছিলাম। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী শিক্ষার্থীরা ইনস্টিটিউট অবরুদ্ধ করেছি।’

আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমাদের মূল ক্যাম্পাসে স্থানান্তর, আবাসিক হল, ক্যান্টিনের ব্যবস্থা ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবন সংস্কারের যে চারটি মৌলিক দাবি ছিল, তার কোনোটার কাজই দৃশ্যমান নয়। এগুলোর কাজ শুরু না হলে আমরা আগেই বলেছিলাম আবার আন্দোলনে যাব। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।’

চারুকলা ইনস্টিটিউটের পরিচালক সুফিয়া বেগম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় যা ব্যবস্থার নেওয়ার সব কিছুই করেছে। তাদের সমস্ত দাবি পূরণে পরিচালক হিসেবে আমিও কাজ করছি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক ক্যাফেটেরিয়া, ইনফরমেশন সেন্টার ও ভবন সংস্কারের কাজও শুরু হচ্ছে। এই কাজগুলো করতে সময় লাগে। ওরা কেন আন্দোলন করছে এটা ওরাই ভালো জানে।’

গত ২৩ জানুয়ারি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা ৮২ দিন আন্দোলনের পর ক্লাস শুরু করেন। তবে শর্ত সাপেক্ষে চট্টগ্রাম নগরের ক্যাম্পাসেই ভবনের বাইরে ক্লাস করেন তারা। এর আগে শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি ও জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মুহাম্মদ ফখরুজ্জামানের সঙ্গে বৈঠক করেন চারুকলার শিক্ষার্থীরা। বৈঠকে মূল ক্যাম্পাসে স্থানান্তর প্রক্রিয়া শুরু, ঝুঁকিপূর্ণ ভবন সংস্কার, আবাসিক হলের ব্যবস্থা ও ক্যান্টিনের ব্যবস্থার দাবি পূরণ করার আশ্বাস দেন শিক্ষামন্ত্রী ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক।

এই আশ্বাসে আন্দোলন স্থগিত করে ক্লাসে ফেরার ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা। গত সাতদিন ক্লাস চললেও আজ থেকে আবার ক্যাম্পাস অবরুদ্ধ করে আন্দোলনে নেমেছেন তারা।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।