ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফের নির্দেশে বাচার পরিবারের পাশে আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপির নির্দেশে চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ পলোগ্রাউণ্ডে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় যোগ দিত আসার পথে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুবরণকারী জহিরুল ইসলাম বাচার পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন। সোমবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে চন্দনাইশ উপজেলাধীন বাচার বাড়ীতে যান আওয়ামী লীগে নেতৃবৃন্দ।

এ সময় চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদ এমপি, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, নজরুল ইসলাম চৌধুরী এমপি, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি’র সহকারী একান্ত সচিব মোহাম্মদ নুরখান, আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, আকতার উদ্দিন পারভেজ, বকতেয়ার সাঈদ ইরান, ডা. তিমির বরণ, চন্দনাইশ উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি জাহেদুল ইসলাম জাহাঙ্গীর, সাধারণ সম্পাদক আবু আহমদ চৌধুরী জুনু, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান খোরশেদ বিন ইসহাক, মিজানুর রহমান প্রমুখ উপস্থিতছিলেন।

নেতৃবৃন্দ মরহুম জহিরুল ইসলামের বাড়ীতে পৌঁছলে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ আশে-পাশের জনসাধারণ ছুটে আসেন। নেতৃবৃন্দগণ এ সময় জহিরুল ইসলামের বড় ভাই ও ছেলে মেয়েদের সাথে কথা বলেন এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ হতে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের পাঠানো পাঁচ লক্ষ টাকা সহায়তা প্রদান করেন।

এ সময় উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ নুরখান মরহুম জহিরুল ইসলামের বড় ভাই আব্দুস সালামের সাথে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপির সাথে ফোনে কথা বলিয়ে দেন। ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি এ সময় জহিরুল ইসলামের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন এবং দলের পক্ষ থেকে তাদের পরিবারকে সব ধরণের সহযোগিতার আশ্বাস দেন। তিনি বাচার মৃত্যুর বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করবেন বলেও জানান।
নজরুল ইসলাম চৌধুরী এমপি মরহুম বাচার পরিবারকে একটি ঘর করে দেয়ার প্রতিশ্রুতিসহ ছেলে- মেয়েদের লেখাপড়ায় সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।

উল্লেখ্য জহিরুল ইসলাম বাচা চন্দনাইশ উপজেলাধীন ৮ নং উত্তর হাশিমপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। ছোট্ট একটি টিনের ঘরে তিনি স্ত্রী, তিন ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে বসবাস করতেন। ৪ ডিসেম্বর পলোগ্রাউন্ড মাঠে প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশে আসার পথে হৃদযন্ত্র বন্ধ হয়ে তিনি মারা যান।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।