ঋণের টাকায় মোহাম্মদ আলীর দুবাইতে ব্যবসা, ধরে আনতে আদালতের আদেশ

চট্টগ্রাম ভিত্তিক শিল্প প্রতিষ্ঠান ইমাম গ্রুপের মালিক মোহাম্মদ আলীকে দুবাই থেকে ধরে আনতে আদেশে দিয়েছেন আদালত। সোনালী ব্যাংকের ১৮৫ কোটি কোটি টাকা ঋণ খেলাপি মামলায় আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত এই আদেশ দেন।

রোববার (২১ মে) চট্টগ্রাম অর্থঋণ আদালতের বিচারক মুজাহিদুর রহমান এ আদেশ দেন বলে চট্টগ্রাম খবরকে নিশ্চিত করেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী রেজাউল করিম।

তিনি বলেন, সোনালী ব্যাংকের আবেদনের প্রেক্ষিতে পুলিশের মহাপরিদর্শক ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় দুবাই থেকে ঋণ খেলাপি মোহাম্মদ আলীকে ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সোনালী ব্যাংকের পিএসসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালককে নির্দেশ দিয়েছেন।

মোহাম্মদ আলী একসময় ন্যাশনাল ক্রেডিট অ্যান্ড কমার্স ব্যাংকের (এনসিসি) পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ছিলেন। এই পদ ব্যবহার করে তিনি বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ঋণ নেন। ব্যাংকে তার শেয়ার ২ শতাংশের নিচে নেমে যাওয়া এবং বিভিন্ন ব্যাংক থেকে নেওয়া ঋণ খেলাপি হওয়ায় তাকে এনসিসি বোর্ড থেকে বাদ দেওয়া হয়।

সোনালী ব্যাংকের মামলার নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে তার কাছে বিভিন্ন ব্যাংকের পাওনা ১৫শ কোটি টাকা।

মোহাম্মদ আলী ও তার স্ত্রী দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেও ছেলে আলী ইমাম পালাতে পারেননি। আইএফআইসি ব্যাংকে ৬১ কোটি তিন লাখ ৩১ হাজার ৬২৩ টাকা খেলাপী ঋণ আদায়ে ব্যাংক মামলা করলে চট্টগ্রাম অর্ধঋণ আদালত তাদের তিনজনের পাসপোর্ট জব্দের আদেশ দেন। মা-বাপ পালিয়ে গেলেও আটকে পড়া ঋণ খেলাপী আলী ইমাম এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে রিট করেন।
সেই রিট শুনানি শেষে সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ ঋণ খেলাপীদের দেশত্যাগে চট্টগ্রাম অর্থঋণ আদালতের দেওয়া নিষেধাজ্ঞা বহাল রেখে রায় প্রদান করেছেন।
রায়ের পর্যবেক্ষণে বলা হয়-ব্যাংক যে ঋণ প্রদান করে তা হল জনগণের আমাণতের টাকা। জনস্বার্থ রক্ষা করার প্রয়োজনে ঘটনা ও পরিস্থিতি বিবেচনায় অর্থঋণ আদালত আইনের ৫৭ ধারা মোতাবেক ঋণ খেলাপীদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করতে পারবে অর্ধঋণ আদালত।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।