ঋণ খেলাপীদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা উচ্চ আদালতেও বহাল

চট্টগ্রাম অর্থঋণ আদালতের দেওয়া ঋণ খেলাপীদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা উচ্চ আদালত বহাল রেখেছেন। সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ ঋণ খেলাপীদের দেশত্যাগে চট্টগ্রাম অর্থঋণ আদালতের দেওয়া নিষেধাজ্ঞা বহাল রেখে রায় প্রদান করেছেন।
রায়ের পর্যবেক্ষণে বলা হয়-ব্যাংক যে ঋণ প্রদান করে তা হল জনগণের আমাণতের টাকা। জনস্বার্থ রক্ষা করার প্রয়োজনে ঘটনা ও পরিস্থিতি বিবেচনায় অর্থঋণ আদালত আইনের ৫৭ ধারা মোতাবেক ঋণ খেলাপীদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করতে পারবে অর্ধঋণ আদালত।

চট্টগ্রাম অর্থঋণ আদালতের বিচারক মুজাহিদুর রহমানের দেওয়া ইমাম বাটনের ঋণখেলাপী মালিক মোহাম্মদ আলী, তার স্ত্রী জেবুন্নেসা এবং ছেলে আলী ইমামের পাসপোর্ট জব্দের আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে রিট (২১৯১/২০২২) করলে সম্প্রতি বিচারপতি জেবিএম হাসান এবং বিচারপতি রাজিক আল জলিলের দ্বৈত বেঞ্চ এই রায় প্রদান করেন।

মোহাম্মদ আলী ইমাম বাটনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং চট্টগ্রামভিত্তিক ইমাম গ্রুপের মালিক। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে ৮০০ কোটি টাকা ঋণ খেলাপির জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের দায়ের করা ৫৫টি মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়ার পর তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। স্ত্রী জেবুন্নেসাসহ তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতে আছেন বলে জানা গেছে।

মোহাম্মদ আলী একসময় ন্যাশনাল ক্রেডিট অ্যান্ড কমার্স ব্যাংকের (এনসিসি) পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ছিলেন। এই পদ ব্যবহার করে তিনি বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ঋণ নেন। ব্যাংকে তার শেয়ার ২ শতাংশের নিচে নেমে যাওয়া এবং বিভিন্ন ব্যাংক থেকে নেওয়া ঋণ খেলাপি হওয়ায় তাকে এনসিসি বোর্ড থেকে বাদ দেওয়া হয়।

মোহাম্মদ আলী ও তার স্ত্রী পালিয়ে গেলেও ছেলে আলী ইমাম পালাতে পারেননি। আইএফআইসি ব্যাংকে ৬১ কোটি তিন লাখ ৩১ হাজার ৬২৩ টাকা খেলাপী ঋণ আদায়ে ব্যাংক মামলা করলে চট্টগ্রাম অর্ধঋণ আদালত তাদের তিনজনের পাসপোর্ট জব্দের আদেশ দেন। মা-বাপ পালিয়ে গেলেও আটকে পড়া ঋণ খেলাপী আলী ইমাম এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে রিট করেন। সেই রিটের শুনানিতে উচ্চ আদালত চট্টগ্রাম অর্ধঋণ আদালতের আদেশের পক্ষে রায় দেন।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।