এক জালেই ধরা ১১৬টি লাল পোয়া

কক্সবাজারের কুতুবদিয়ার জেলে ছৈয়দ নূর। প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার কুতুবদিয়া চ্যানেলে জাল ফেলেছেন। উদ্দেশ্য সাগরের ছোট মাছ ধরা। কিন্তু তার জালে ধরা পড়েছে এক ঝাঁক বড় আকারের লাল পোয়া। চার-পাঁচ কেজি থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ১৫ কেজি ওজনের মাছও ছিল সেই ঝাঁকে।

এই মাছ ধরে রীতিমতো হৈচৈ ফেলে দিয়েছেন উপজেলার ধূরুং ইউনিয়নের আকবর বলী পাড়া গ্রামের মোস্তাক আহমেদের ছেলে ছৈয়দ নূর। একদিনেই লাখপতি সৈয়দ নুর।

বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে এই মাছগুলো তীরে নিয়ে আসেন তিনি। কক্সবাজার ফিশারিঘাটে মাছ আড়ৎদাররা মাছগুলোর সর্বোচ্চ দাম ১৪ লাখ টাকায় কিনে নেন।

ছৈয়দ নূর বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে কুতুবদিয়া চ্যানেলে আমরা সাগরের ছোট মাছ ধরতে জাল ফেলি। দুপুরে জাল তুলতে গিয়ে দেখি জাল টেনে পাড়ে আনা যাচ্ছে না। পরে গ্রাম থেকে আরও লোকজনকে ডেকে আনলাম। তাদের সহায়তায় বিকেলের দিকে তীরে তুলতে পারি।

সেখানে তখন বড় আকৃতির অসংখ্য লাল পোয়া মাছ লাফালাফি করছে। পরে গণনা করে ১১৬টি পোয়া মাছ পাওয়া গেছে। প্রতিটি সর্বোচ্চ ১৫ কেজি ওজনের মাছ ছিল ঝাঁকে।

নূরের সহযোগী আরেক জেলে মোস্তাক বলেন, অনেক দরদামের পর কক্সবাজার ফিশারিঘাটের মোহাম্মদ সওদাগরসহ কয়েকজন ১৪ লাখ টাকা দিয়ে মাছগুলো কিনে নেন।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আনোয়ারুল আমিন জানান, এই ধরনের পোয়া মাছ সচরাচর কুতুবদিয়া চ্যানেলে পাওয়া যায় না। এ মাছ গভীর সমুদ্রে থাকে। ভাগ্যক্রমে এদিন জেলেদের জালে ধরা পড়েছে।

তিনি বলেন, লাল পোয়া মাছের বায়ুথলিটা সাধারণত এক ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়। এই বায়ুথলি দিয়ে বিভিন্ন চিকিৎসার কাজে ব্যবহারের জন্য নানা প্রকার সার্জিক্যাল মেডিসিন তৈরি করা হয়। তাই পোয়া মাছের দাম ও চাহিদা অনেক।

জেএইচ/এফএম

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।