এমভি অভিযান-১০–এর মালিক ও মাস্টারদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০–এ অগ্নিকাণ্ডে প্রাণহানির ঘটনায় লঞ্চটির চার মালিক ও চার মাস্টারের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন ঢাকার নৌ আদালত। নৌপরিবহন অধিদপ্তরে অবস্থিত নৌ আদালতে মামলা করেন অধিদপ্তরের প্রধান পরিদর্শক মো. শফিকুর রহমান।

রোববার (২৬ ডিসেম্বর) বিকেলে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন নৌ আদালতের বিচারক (স্পেশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট) জয়নাব বেগম।

মামলার লঞ্চের মালিক প্রতিষ্ঠান মেসার্স আল আরাফ অ্যান্ড কোম্পানির চার মালিক মো. হামজালাল শেখ, মো. শামিম আহম্মেদ, মো. রাসেল আহাম্মেদ ও ফেরদৌস হাসান রাব্বি, লঞ্চের ইনচার্জ মাস্টার মো. রিয়াজ সিকদার, ইনচার্জ চালক মো. মাসুম বিল্লাহ, দ্বিতীয় মাস্টার মো. খলিলুর রহমান ও দ্বিতীয় চালক আবুল কালামকে আসামি করা হয়।

এ ছাড়াও আইন অনুযায়ী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চের ফিটনেস সনদ, নিবন্ধন ও মাস্টার-চালকদের সনদ স্থগিত করা হবে বলে নৌপরিবহন অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে।

নৌ অধিদপ্তরের বরিশালের পরিদর্শকের প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে লঞ্চে পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র না থাকা, জীবন রক্ষাকারী পর্যাপ্ত বয়া ও বালুর বাক্স না রাখা, ইঞ্জিন কক্ষের বাইরে ডিজেলবোঝাই ড্রাম রাখা এবং রান্নার জন্য গ্যাসের চুলা ও সিলিন্ডার রাখার অভিযোগ আনা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে এ ঘটনায় মৃত্যুজনিত দায় নির্ধারণ করে সম্পূরক মামলা করা হবে।

প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতের ঢাকা থেকে বরগুনা যাওয়ার পথে রাত আড়াইটার দিকে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে আগুন লাগে। আগুনে পুড়ে ও নদীতে ঝাঁপ দিয়ে অন্তত ৩৮ যাত্রী নিহত হন, এখনো নিখোঁজ আছেন ৫১ জন।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।