এশিয়ান ফোক: চট্টগ্রামের ১৬ প্রতিযোগী পেলেন ‘ইয়েসকার্ড’

দেশে প্রথমবারের মতো শুরু হয়েছে ফোক গানের মেগা রিয়েলিটি শো ‘এশিয়ান ফোক’। এই রিয়েলিটি শো নির্মাণের কাজ করেছে এশিয়ান টেলিভিশন। দেশে প্রতিটি জেলায় প্রতিযোগিতামূলক বাছাইপর্ব অতিক্রম করে এশিয়ান ফোকের প্রথম রাউন্ডে অংশ নেবে শিল্পীরা।

বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) চট্টগ্রামের শিল্পকলা একাডেমির আর্ট গ্যালারি মিলনায়তনে চট্টগ্রাম বিভাগের শিল্পীদের অডিশন রাউন্ড অনুষ্ঠিত হয়। অডিশন পর্বে বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন স্বাধীনবাংলা বেতার কেন্দ্রের কণ্ঠসৈনিক চট্টগ্রামের আঞ্চলিক গানের জনপ্রিয় শিল্পী কল্যাণী ঘোষ, সংগীত শিক্ষক আব্দুর রহিম ও পাপিয়া আহমেদ।

সকাল থেকে চট্টগ্রাম, রাঙামাটি,বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, কক্সবাজার, লক্ষীপুরের প্রতিযোগীরা জড়ো হন শিল্পকলা একাডেমিতে। টান টান উত্তেজনার মাঝে দুই পর্বের অডিশন রাউন্ডে অংশ নেন শতাধিক প্রতিযোগী। তাদের মধ্য থেকে ১৬ জনকে ‘ইয়েস কার্ড’ দিয়ে এশিয়ান ফোকের মূল পর্বের জন্য নির্বাচিত করেন বিচারকরা। নিজ নিজ কণ্ঠের জাদু আর গায়কী দিয়ে বিচারকদের মুগ্ধ করে চট্টগ্রামের ১৬জন প্রতিযোগী ঢাকায় অনুষ্ঠেয় ‘এশিয়ান ফোক’ এর মূল পর্বে নাম লেখালেন।

চট্টগ্রাম থেকে যারা বাচাই পর্বে ‘ইয়েস কার্ড ‘ পেয়েছেন তারা হলেন- মোহাম্মদ খোকন, সীমান্ত মহাজন, জয় দত্ত দীপ্ত (মুক্তা), মাজহারুল ইসলাম, শেফালী আকতার, মেহেদী হাসান জিম, রিনি সিনহা, স্বস্তিকা দাশ, বাঁধন নাথ, লিটন নন্দী, মোহাম্মদ খায়রুল, সুবর্ণা লিয়ানসা, জিয়া উদ্দিন বাদশা, আহজার উদ্দিন মজুমদার, টিপু দেবনাথ, দ্বীপঙ্কর দীপ্ত।

এশিয়ান টেলিভিশন চট্টগ্রাম বিভাগের প্রধান ওয়াহিদ জামান জানান, জেলা পর্যায় থেকে ফোক গানের মেধাবী শিল্পীদের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তুলে ধরার জন্যই এশিয়ান টেলিভিশনের এই ব্যতিক্রমী আয়োজন। আঞ্চলিক গানের সুতিকাগার চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে বাছাইকৃত ১৬ জন শিল্পী সারাদেশের ইয়েসকার্ড পাওয়া প্রতিযোগীদের সাথে প্রতিযোগিতায় নিজেদের সক্ষমতা উপস্থাপন করে শীর্ষস্থানে পৌঁছানোর সক্ষমতা রয়েছে।

চট্টগ্রাম বিভাগের বিচারকমন্ডলীর সদস্য শিল্পী কল্যাণী ঘোষ বলেন, চট্টগ্রামে আঞ্চলিক গানের শত বছরের ঐতিহ্য রয়েছে। বাঙালি লোকজ সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ চট্টগ্রামের আঞ্চলিক গান। কিন্তু এখন এসব গানের কেন্দ্রীয় সংগ্রহশালা না থাকা, পৃষ্ঠপোষকতায় কার্পন্যের কারণে বিলুপ্ত ও বিকৃতি পথে অনেক কালজয়ী গান, গানের শিল্পী ও গীতিকার। এশিয়ান ফোক রিয়েলিটি শো- নিঃ সন্দেহে হারিয়ে যাওয়া লোকজ গানকে দর্শকের কাছে নতুন করে উপস্থাপন করতে সক্ষম হবে। দেশের তৃনমুল থেকে ফোক গানের নতুন মেধাবী শিল্পী তুলে আনবে।

এর আগে গত ৯ মার্চ কুমিল্লা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় চট্টগ্রাম বিভাগের (২য় অংশ) ফোক শিল্পীদের প্রাথমিক বাছাইপর্ব। এতে অংশগ্রহণ করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী ও লক্ষীপুরের প্রতিযোগীরা। ফোক গান নিয়ে দেশের প্রথম কোন টেলিভিশনে ফোক গান নিয়ে রিয়েলিটি শোর এমন আয়োজন বিনোদন জগতে ভিন্নতা আনবে বলে মনে করছেন সংগীত সংশ্লিষ্টরা।

এমএফ

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।