ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজিতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর চমৎকার অভিজ্ঞতা

শেখ মো. আকিজ, জন্ম ও বেড়ে ওঠা চট্টগ্রামে। মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিকের গণ্ডি পেরিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন। এর পাশাপাশি বিভিন্ন কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান এবং গণমাধ্যমে নিজেকে সংযুক্ত করেন। তবে এই তরুণের স্বপ্ন ছিলো বিদেশে উচ্চশিক্ষার। তাইতো গুছানো চাকুরি, নিজের প্রতিষ্ঠান থাকা সত্বেও পাড়ি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে। তাঁর উচ্চশিক্ষার পথ যাত্রা সুগম করে দিয়েছে ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি (ডব্লিউইউএসটি-WUST)। ডব্লিউইউএসটি নিয়ে নিজের চমৎকার অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন তিনি। গত ০৭ ফেব্রুয়ারি তিনি দেশে আসেন।

শনিবার (১১ মার্চ) চট্টগ্রাম নগরীর কাজির দেউড়িস্থ ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত এইচএসসি ও সমমান পাস শিক্ষার্থী সংবর্ধনা ও উচ্চশিক্ষা বিষয়ক এক্সপোতে তিনি এই অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। উচ্চশিক্ষায় উদ্বুদ্ধ করতে বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্ক ও বিএসবি-ক্যামব্রিয়ান এডুকেশন গ্রুপের যৌথভাবে এই সংবর্ধনা, উচ্চশিক্ষা বিষয়ক সেমিনার ও এক্সপো আয়োজন করে।

ডব্লিউইউএসটির এডুকেশন কনসালটেন্ট মাছুমা ভূঁইয়া ফারহা বলেন এই এক্সপোতে যোগদানকারী শিক্ষার্থীরা ডব্লিউইউএসটিতে ৫০% স্কলারশীপে অধ্যয়নের সুযোগ পাবেন। তিনি শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে দারুণ সাড়া পেয়েছেন বলে জানান।

শেখ মো. আকিজ বলেন, বিদেশে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে ডব্লিউইউএসটি বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য একটি চমৎকার সুযোগ। আমার ভর্তি থেকে শুরু করে যাবতীয় সব বিষয়ে সার্বিক সহায়তা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা। তিনি বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্ক ও ক্যামব্রিয়ান কলেজের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান লায়ন এম কে বাশারের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন, এটি বিদেশের মাটিতে কোন বাংলাদেশি মালিকানাধীন প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়। এখানকার শিক্ষার পরিবেশ বাংলাদেশিদের জন্য খুবই উপযুক্ত। সচরাচর বিদেশের মাটিতে প্রাথমিকভাবে যে কোন শিক্ষার্থীর মানিয়ে নিতে সমস্যা হয়, পরিবেশ বুঝতে হিমশিম খেতে হয়। কিন্তু এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন থেকে শিক্ষার্থী পর্যন্ত সবস্থানে বাংলাদেশিদের আধিক্য থাকায় সহজে মানিয়ে নেওয়া যায়।

ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজিতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর চমৎকার অভিজ্ঞতা 1
ডব্লিউইউএসটি’র সহপাঠীদের নিয়ে আড্ডায় শেখ মো. আকিজ

তিনি বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্মানিত উপাচার্য ও চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ স্যার এবং সিএফও ফারহানা হানিপ ম্যাম খুবই আন্তরিক। তাঁরা শিক্ষার্থীদের সমস্যায় সরাসরি এগিয়ে আসেন এবং সার্বিক সহযোগীতা করেন। তিনি আরও বলেন- আইটি ম্যানেজার কাজী বারী স্যারের আন্তরিক সহযোগিতা আমার সবসময় মনে থাকবে।

আমার শ্রদ্ধেয় শিক্ষকমন্ডলী এবং প্রিয় সহপাঠীদের আন্তরিক সম্পর্ক সবসময় দারুন স্মৃতি হয়ে থাকবে। সবাইকে খুবই মিস করি।

এই শিক্ষার্থী আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার আগে ভেবেছিলাম আবাসনের বিষয়ে সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। কিন্তু সেখানে গিয়ে সকলের সহযোগিতা আমাকে মুগ্ধ করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিজেদের থেকেই শিক্ষার্থীদের আবাসনে সহায়তা করে থাকেন। এছাড়া পড়াশোনার পাশাপাশি বাস্তবিক জ্ঞানের সংযোগ খুবই দারুণ। যার মাধ্যমে পড়াশোনা শেষ করে স্বল্প সময়ে চাকুরি পাওয়া সম্ভব।

ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজিতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর চমৎকার অভিজ্ঞতা 2
প্রফেসর মার্ক রবিনসন এবং ডব্লিউইউএসটি’র শিক্ষার্থীদের একাংশ

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে আমি ম্যারিল্যান্ড স্টেটের ইউনিভার্সিটি অব বাল্টিমোর-এ এমবিএ প্রোগ্রামে গ্র্যাজুয়েট অ্যাসিস্টেণ্ট হিসেবে যোগদান করেছি। এবং ১০০% স্কলারশিপ পেয়ে সেখানে ভর্তি হয়েছি। আর এই পথেও ডব্লিউইউএসটি কর্তৃপক্ষ বিভিন্নভাবে যথেষ্ট সহায়তা করেছেন। আমেরিকার মাটিতে এই বিশ্ববিদ্যালয় আমার প্রথম প্ল্যাটফর্ম। যার উপর ভিত্তি করে আমি স্টেট ইউনিভার্সিটিতে নিজের যোগ্যতা প্রমান করার সুযোগ পেয়েছি। এজন্য আমি ডব্লিউইউএসটি’র প্রতি সবসময় কৃতজ্ঞ।

এ সময় তিনি বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার প্রতি আগ্রহ আরও বাড়ানোর পাশাপাশি আমেরিকায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ডব্লিউইউএসটি বেছে নেওয়ার পরামর্শ দেন।

আরও পড়ুনঃ http://সিনেটে ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির প্রশংসা

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।