কনটেইনারে করে মালেশিয়ায় পৌঁছানো বাংলাদেশি কিশোর মানবপাচারে জড়িত নয়: মালেশিয়ান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

মালেশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাতুক সেরি সাইফুদ্দিন নাসুশন ইসমাইল বলেছেন, বাংলাদেশ থেকে কনটেইনারে করে আসা কিশোর কোন মানব পাচারকারী চক্রের সাথে জড়িত নয়। তার বিরুদ্ধে অপরাধমূলক কোন কর্মকাণ্ডের অভিযোগ পাওয়া যায়নি। সে ঘমন্ত অবস্থায় এখানে চলে এসেছে, তাকে দেশে ফেরত পাঠানো হবে।

শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) দেশটির গণমাধ্যমকে দেওয়া বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, কনটেইনারে শুধু ফাহিম নামে বাংলাদেশি ছেলেটিকে পাওয়া গেছে। সেখানে আর কেউ ছিলো না। জাহাজটি পোর্ট ক্লাং এ পৌঁছালে কন্টেইনারটি নামিয়ে দেখা যায় ভেতরে একটি শিশু রয়েছে।

তিনি বলেন, কিশোর মানবপাচারে জড়িত কি না পুলিশ সে বিষয়ে তদন্ত করে কোন অভিযোগ পায়নি প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, ছেলেটি কন্টেইনারের ভিতরে প্রবেশ করে ঘুমিয়ে পড়েছিল ।

সাইফুদ্দিন বলেন, ছেলেটিকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। তার গায়ে হালকা জ্বর ছিলো, তাকে চিকিৎসা করানো হচ্ছে। বৈধ উপায়ে তাকে দেশে পাঠানো হবে।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) মালয়েশিয়ার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিশুটিকে উদ্ধারের ঘটনার একটি ভিডিও প্রকাশ করে। সেখানে কিশোরকে বলতে শোনা যায় তার নাম ফাহিম।

ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশ ও মালয়েশিয়ার পোর্ট কেলাং বন্দরের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে খালি কনটেইনারটি খোলা হয়। গায়ে গরম জামা এবং থ্রি–কোয়ার্টার প্যান্ট পরা এক কিশোরকে কনটেইনার থেকে বের হতে দেখা যায়। বের হওয়ার পর কিছুটা ভীত দেখা যায় তাকে। এরপর ফাহিমকে অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চিত্রও দেখা যায় ওই ভিডিওতে।

প্রসঙ্গত, গত ১২ জানুয়ারি ‘এমভি ইন্টেগ্রা’ নামের একটি জাহাজ মালয়েশিয়ার উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি-১ নম্বর জেটি ছেড়ে যায়। সে জাহাজে থাকা একটি খালি কনটেইনারে চেপে মালয়েশিয়ার কেলাং বন্দরে যায় ওই কিশোর। ১৬ জানুয়ারি কনটেইনারের ভেতর থেকে শব্দ শুনতে পান নাবিকেরা। এরপরই কেলাং বন্দরকে অবহিত করা হলে পরদিন ১৭ জানুয়ারি বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায় জাহাজটি জেটিতে এনে কনটেইনার খুলে ওই কিশোরকে উদ্ধার করা হয়।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।