করোনায় দেশে বাল্যবিয়ের শিকার ৪৭ হাজার শিক্ষার্থী, চট্টগ্রামে সর্বনিম্ন

করোনায় বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছেন ৪৭ হাজার শিক্ষার্থী। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মনিটরিং অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন উইংয়ের প্রতিবেদনে এমন তথ্য দেওয়া হয়েছে। সোমবার (১৫ আগস্ট) রাতে প্রতিবেদনটি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়।

বাল্যবিয়ের কারণে শিক্ষার্থী অনুপস্থিতির হার সর্বনিম্ন চট্টগ্রামে ১২ দশমিক ৬৮ শতাংশ। সবচেয়ে বেশি রাজশাহী অঞ্চলে মোট ১৫ দশমিক ৮২ শতাংশ এবং সিলেটে সর্বনিম্ন ৪ দশমিক ৩০ শতাংশ। তবে শিশুশ্রমের কারণে শিক্ষার্থীর অনুপস্থিতির হার সর্বোচ্চ রাজশাহী অঞ্চলে মোট ১৮ দশমিক ৮০ শতাংশ

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, করোনাকালে বাল্যবিয়ে হয়েছে ৪৭ হাজার ৪১৪ শিক্ষার্থীর। এ সময় শিশুশ্রমে যুক্ত হয়েছে ৭৭ হাজার ৭০৬ জন। এই মহামারিতে ২০২১ সালে দেশের ১১ হাজার ৬৭৯টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রায় ৪ লাখ ৮১ হাজার ৫৫ জন শিক্ষার্থী বার্ষিক পরীক্ষায় দেয়নি।

দেশের ১১ হাজার ৬৭৯টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসব তথ্য নেওয়া হয়। প্রতিবেদনে ২০২১ সালের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। বর্তমানে দেশে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে মোট মাধ্যমিক বিদ্যালয় আছে ২০ হাজার ২৯৪টি। তার মধ্যে ৮ হাজার ৬১৫টি প্রতিষ্ঠান তাদের তথ্য দেয়নি।

১১ হাজার ৬৭৯টি প্রতিষ্ঠানের প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালে মাধ্যমিক পর্যায়ে ভর্তি শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৬৫ লাখ ৫৬ হাজার ৫৩৬ জন। এর মধ্যে বালক ২৯ লাখ ৬২ হাজার ৪৬ জন এবং বালিকা ৩৫ লাখ ৯৪ হাজার ৪৯১ জন। ২০২১ সালে মাধ্যমিক পর্যায়ে ভর্তি শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৬৬ লাখ ৪৯ হাজার ৫৩৮ জন। এর মধ্যে বালক ৩০ লাখ ২১ হাজার ২৩৩ জন এবং বালিকা ৩৬ লাখ ২৮ হাজার ৩০৫ জন। করোনার মধ্যেই ২০২০ সালের তুলনায় ৯৩ হাজার ২ জন শিক্ষার্থী বেড়েছে।

প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, ২০২১ সালের বার্ষিক পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ৬১ লাখ ৬৮ হাজার ৪৮৩ জন শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে বালক ২৮ লাখ ৫ হাজার ৭৯১ জন এবং বালিকা ৩৩ লাখ ৬২ হাজার ৬৯২ জন। পরীক্ষায় অনুপস্থিত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৪ লাখ ৮১ হাজার ৫৫ জন, যা মোট শিক্ষার্থীর ৭ দশমিক ২৩ শতাংশ।

এর মধ্যে বাল্যবিয়ের কারণে ৪৭ হাজার ৪১৪ জন পরীক্ষায় অনুপস্থিত, শিশুশ্রমে যুক্ত হওয়ার কারণে পরীক্ষায় অংশ নেয়নি ৭৭ হাজার ৭০৬ জন।৩ লাখ ৫৫ হাজার ৯৩৫ জন শিক্ষার্থী অন্যান্য কারণে অংশ নেয়নি বলে জানায়।

সারা দেশকে ৯টি অঞ্চল ভাগ করা হয়। এর মধ্যে পরীক্ষা অনুপস্থিতির হার সর্বনিম্ন ময়মনসিংহ অঞ্চলে ৮ দশমিক ৯৩ শতাংশ ও বরিশালে ৬ দশমিক ৬২ শতাংশ।

২০২০ সালে মার্চের মাঝামাঝি থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সশরীরে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ করে দেওয়া হয়। একটানা প্রায় ১৮ মাস শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।