কর্ণফুলীতে বাস-সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষ, মায়ের পারে মারা গেলেন ২ ছেলেও

দুই ছেলে এক মেয়েকে নিয়ে অসুস্থ বৃদ্ধা মাকে দেখতে পটিয়া উপজেলার জিরির শ্বশুর বাড়ি থেকে সিএনজি অটোরিকশা নিয়ে আনোয়ারার বারশত ইউনিয়নের গুন্দ্বীপ গ্রামে বাবার বাড়ি যাচ্ছিলেন কোহিনুর আকতার (৪০)। কিন্তু মা জুলেহা বেগমের দেখা পাওয়ার আগে সড়ক দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান মা। পরে ২ ছেলেও মারা যান, আর হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে আহত এক শিশু।

কর্ণফুলীতে বাস-সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষ, মায়ের পারে মারা গেলেন ২ ছেলেও 1

গত বৃহস্পতিবার ( ১ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার বড়উঠান ইউনিয়নের ডাকপাড়ার শেষ সীমানায় বাস–সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে এই ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন—কোহিনুর আকতার (৪০) এবং তার দুই সন্তান মো. মানিক ও মো. মিরাজ। মানিক স্নাতকে পড়তেন। মিরাজ সদ্য এসএসসি পরীক্ষা শেষ করেছিল। কোহিনুর পটিয়া উপজেলার জিরি গ্রামের শফিউল আলমের স্ত্রী। নিহত কোহিনুর আনোয়ারা উপজেলার বারশত ইউনিয়নের গুন্দ্বীপপাড়া গ্রামের মৃত আবদুস শুক্কুরের কন্যা।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পটিয়ার জিরি গ্রাম থেকে ছেলে মেয়েকে নিয়ে অটোরিকশায় আনোয়ারার বারশত ইউনিয়নের গুন্দ্বীপপাড়া গ্রামে বাবার বাসায় যাচ্ছিলেন কোহিনুর। পথে ডাকপাড়া এলাকায় একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে অটোরিকশার সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে নিহত হন কোহিনুর। আহত অবস্থায় তার দুই ছেলে মানিক, মিরাজ ও শিশু সুমাইয়া গুরুতর আহত অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে মারা যান দুই ছেলে তারা।

আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মীর্জা মুহাম্মদ হাছান বলেন, ঘটনাস্থল থেকে নিহত নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। চমেক হাসপাতালে তার দুই ছেলে মারা গেছেন। লাশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। বাসটি জব্দ করা হলেও চালক পলাতক রয়েছে বলে জানান তিনি।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।