কর্মকর্তা শূন্য প্রাণিসম্পদ অফিস, বিপাকে খামারীরা

মিরসরাই উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা না থাকায় চরম বিপাকে পড়েছেন উপজেলার খামারিরা।

জানা যায়, চলতি বছরের মার্চ মাসে বদলি হন প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ শ্যামল চন্দ্র পোদ্দার। এর পর থেকে এখনো পর্যন্ত কোন কর্মকর্তা যোগদান করেনি সরকারি এই দপ্তরে। ফলে সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন উপজেলার ১৬ ইউনিয়ন ও ২ পৌরসভার খামারী ও সাধারণ জনগণ।

উপজেলার প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ১৬ টি ইউনিয়ন ও ২ টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত এই উপজেলায় গরু রয়েছে ৯৫ হাজার ৬৭৭ টি, মহিষ ৪ হাজার ৭২৫ টি, ছাগল ২৬ হাজার ৫২৯ টি, ভেড়া ২ হাজার ৪৭৬ টি, ৪ লাখ হাঁস, ৫ লাখ ৮৫ হাজার মুরগি ছাড়াও রয়েছে অসংখ্য গৃহপালিত কুকুর ও বিড়াল।

রোগাক্রান্ত গাভীর চিকিৎসা নিতে আসা পৌরসভার নাজিরপাড়া গ্রামের করিম চট্টগ্রাম খবরকে বলেন, তিনদিন আমার গাভী গরুটি বাত আক্রান্ত। প্রতিদিনই এখানে আসি। এসে শুনি ডাক্তার নাই। আমাদের এ ভোগান্তির দ্রুত সমাধান দরকার। না হলে পশু চিকিৎসাসেবা ব্যাহতের পাশাপাশি এ খাতে বিনিয়োগকারীরা লোকসান গুনবেন ও পশু পালনে নিরুৎসাহিত হবেন।

উপজেলার ডেইরি খামার এসোসিয়েশনের সভাপতি হেদায়েত উল্ল্যাহ বলেন, পূর্বের কর্মকর্তা চলে যাওয়ার পরে নতুন অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা মহিলা কর্মকর্তা প্রাণীসম্পদ অফিসে নিয়মিত আসে না। আমরা খামার নিয়ে অনেক কষ্ট করছি। অস্ট্রেলিয়ান গাভী বাচ্চা দিলে এগুলোর রেকর্ড করা প্রাণিসম্পদ অফিসার ছাড়া সম্ভব হয় না।

এ বিষয়ে জানতে সীতাকুন্ড উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ও মিরসরাই প্রাণীসম্পদ হাসপাতালের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা তাহমিনা আরজুকে হাসপাতালে না পেয়ে মুঠোফোনে একাধিকবার কল করেও পাওয়া যায়নি।

চট্টগ্রাম জেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ভেটেরিনারি সার্জন ডাঃ দেলোয়ার হোসেন চট্টগ্রাম খবরকে বলেন, মিরসরাই উপজেলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এলাকা, এখানে অনেক খামার রয়েছে। আমি মন্ত্রনালয়ে যোগাযোগ করেছি, খুব শীঘ্রই স্থায়ী কর্মকর্তা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে মন্ত্রনালয়।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।