‘কর আদায় বাড়াতে কর ফাঁকি ঠেকাতে হবে’

চট্টগ্রামের উন্নয়নের স্বার্থে পৌরকর ফাঁকি ঠেকিয়ে জুন মাসের মধ্যে কর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) ভারপ্রাপ্ত মেয়র আফরোজা জহুর। সোমবার (২৯ মে) সকালে নগর ভবনের সম্মলন কক্ষে রাজস্ব বিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

চসিকের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আফরোজা জহুর বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের কার্যক্রম চলমান রাখতে রাজস্ব বিভাগকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হয়। আগামী জুন মাসের কর আদায়ের লক্ষ্য শতভাগ অর্জনে কাজ করতে হবে। সিটি মেয়র নগরবাসীর উপর জোর করে কর চাপিয়ে দেওয়ার পক্ষে নন, এই সংবাদটি নগরবাসীর কাছে পৌঁছে দিয়ে করদাতাদের মতামতকে মূল্যায়ন করে কর আদায় বৃদ্ধি করতে হবে।

নগরীর সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ট্রেড লাইসেন্সের আওতায় আনতে হবে বলে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, অনেকে সামর্থ্যবান হওয়ার পরও নানাভাবে কর ফাঁকি দেয়ার চেষ্টা করেন। নগরীর উন্নয়নের স্বার্থে কর ফাঁকি ঠেকাতে হবে। যেহেতু চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে নিজের আয়ের উপরেই উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করতে হয় সেহেতু জনগণকে সেবা দিতে কর ফাঁকি ঠেকাতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, রাজস্ব বিভাগ হচ্ছে চসিকের প্রধান স্তম্ভ। আমি দায়িত্ব গ্রহণের পর রাজস্ব বিভাগে অটোমেশন এবং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে জনগণের কর প্রদানের পদ্ধতিকে সহজ করতে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। ইতোমধ্যে তিনটি রাজস্ব সার্কেলে পরীক্ষামূলকভাবে পাইলট প্রোগ্রাম চালু করা হয়েছে।

প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় এ সময় বক্তব্য রাখেন রাজস্ব কর্মকর্তা মো. শামসুল তাবরীজ, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা ও মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, কর কর্মকর্তা মহিউদ্দিন আহমেদ সরোয়ার চৌধুরী, আজিজ আহমেদ চৌধুরী, মো. জসিম উদ্দিন, মো. সেলিম উদ্দিন সিকদার, মো. জানে আলম, মো.সারেক উল্লাহ, নুরুল আলম, নাছির উদ্দিন চৌধুরী, রাজেশ চৌধুরী, মো. মেজবাহ উদ্দিন, সাবের আহমদ, এ.কে.এম সালাহ উদ্দিন, উপ-কর কর্মকর্তা দিদারুল আলম, দবির উদ্দিন প্রমুখ।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।