কিডনি দিয়েও ছেলেকে বাঁচাতে পারলেন না মা

চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার চন্দ্রঘোনা কদমতলী ইউনিয়নে কিডনি নষ্ট হওয়ায় সন্তানকে বাঁচাতে মা ছলিমা বেগম তার ছেলে কামরুল হাসান ইমনকে (২০) দিয়েছিলেন নিজের একটি কিডনি।

কিন্তু মায়ের শত চেষ্টায়ও ছেলেকে বাঁচানো গেল না। কিডনি স্থাপনের ৮ মাসের মাথায় দীর্ঘদিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে পৃথিবীর মায়া ছেড়ে পরপারে পাড়ি দিয়েছে কামরুল।

মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৮টায় রাঙ্গুনিয়া হেলথ্ কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। সে উপজেলার চন্দ্রঘোনা কদমতলী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড ছুপিগোট্টা এলাকার মুহাম্মদ সোলাইমান সওদাগরের ছেলে। কামরুল তিন ভাইয়ের মধ্যে মেজ।

চন্দ্রঘোনা কদমতলী ইউনিয়ন ৪নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য গাজী এনাম বলেন- মুহাম্মদ ইমন আমার ভাগ্নে। ২০২০ সালে ইমন অসুস্থতা অনুভব করলে ডাক্তারি পরীক্ষায় কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়েছে বলে জানতে পারি। তার উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতে নিয়ে তার মায়ের একটি কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়।

সে চট্টগ্রাম সেগুনবাগান মাদরাসার একজন মেধাবী শিক্ষার্থী ছিল। এদিকে মাদরাসার মেধাবী শিক্ষার্থী কামরুল হাসানের এমন মৃত্যুতে পুরো এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।