কেইপিজেডে একে একে ২০ শ্রমিক অজ্ঞান, কর্তৃপক্ষ বলছে ‘প্যানিক ডিসঅর্ডার’

চট্টগ্রামের কোরিয়ান ইপিজেড়ের কর্ণফুলী স্যুজ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিডেটের একটি কারখানায় প্যানিক ডিসঅর্ডার আক্রান্তে ২০ শ্রমিক অজ্ঞান হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (২৬ অক্টোম্বর) বিকালে কারখানার ২০ ও ২১ নম্বর ফ্লোরে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর কারখানা কর্তৃপক্ষ দ্রুত চিকিৎসা সেবা দিয়ে শ্রমিকদের বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছে।

কর্তৃপক্ষ ও শ্রমিকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গত তিন দিন আগে একই ফ্লোরে কর্মরত অবস্থায় একজন শ্রমিক স্ট্রোক করে মারা যায়। বুধবার বিকালে কারখানা চলাকালীন সময়ে ২০ ও ২১ নম্বর ফ্লোরে একে একে ১৫ থেকে ২০ শ্রমিক অজ্ঞান হয়ে পড়লে অন্য শ্রমিকদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করে। খবরটি দ্রুত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে গুজবে। কারখানার ভেতরে শুরু হয় দৌঁড়াদৌড়ি। কারখানার সামনে ভীড় জমাতে থাকেন শ্রমিকদের স্বজনরা।
সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত কারখানার বাইরে অবস্থান করে কারখানার ভেতরের থাকা শ্রমিকদের স্বজনরা।

২০ ও ২১ নম্বর ফ্লোরের এডমিন জহিরুল ইসলাম বলেন, অজ্ঞান হওয়া সকলেই নারী শ্রমিক। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে সবাই বাড়িতে চলে গেছেন।

জানতে চাইলে কোরিয়ান এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোন কেইপিজেডের মানব সম্পদ বিভাগের উপ মহা ব্যবস্থাপক মুশফিকুর রহমান বলেন, এটা চিকিৎসকেরা প্যানিক ডিসঅর্ডার রোগ বলে আমাদের জানিয়েছে। তবে অনেকেই এটাকে জ্বিন-ভূতের কারণও বলছে। মনের ভেতরের ভয়ের কারণে এমনটায় ঘটেছে।

তিনি আরও বলেন, যেসব শ্রমিক অজ্ঞান হয়ে পড়ে তাদের দ্রুত মেডিকেল টিমের সহযোগিতায় চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়েছে। সকলে সুস্থ রয়েছে এবং তাদের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। সত্য মিথ্যা যাছাই না করে গুজব ছড়ানোর কারণে শ্রমিকের স্বজনরা কারখানায় ভীড় জমায়।

কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল মাহমুদ বলেন, কারখানায় কাজ করার সময় শ্রমিকদের জ্বিন-ভূতের ভয়ে আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে পড়ে। সকলে সুস্থ রয়েছে, তাদের বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছে কারখানার কর্তৃপক্ষ।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।