ক্যামব্রিয়ান-বিএসবির সংবর্ধনা-জাগলো ওদের স্বপ্নডানা

একই ছাদের নিচে সমবেত হয়েছেন হাজারো শিক্ষার্থী। তাদের অধিকাংশই সদ্য এইচএসসি কিংবা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। আবার অনেকে তারও আগে এইচএসসি/সমমান থেকে উত্তীর্ণ হয়ে দেশ বা দেশের বাইরের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত আছেন। তাদের সকলের চোখেমুখে একটাই স্বপ্ন— ‘উচ্চশিক্ষা’। হোক তা দেশে কিংবা বিদেশে।

শনিবার (১১ মার্চ) এমন স্বপ্নে বিভোর হাজারো শিক্ষার্থীকে একত্রিত করেছিল ক্যামব্রিয়ান স্কুল অ্যান্ড কলেজ। চট্টগ্রাম নগরীর কাজির দেউড়িস্থ ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে এইচএসসি/সমমান কৃতী শিক্ষার্থী সংবর্ধনা ও ২৫তম আন্তর্জাতিক হায়ার এডুকেশন এক্সপো’র আয়োজন করেছিল প্রতিষ্ঠানটি।

অনুষ্ঠানে দেশে কিংবা বিদেশে উচ্চশিক্ষার বিষয়ে বিস্তারিত দিক নির্দেশনা প্রদান করেন বিএসবি ক্যামব্রিয়ান এডুকেশন গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান লায়ন এম.কে বাশার। এছাড়াও এতে প্রায় ৩০টি দেশের প্রতিনিধিরা উপস্থিত হয়ে তাদের নিজ নিজ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাপারে বিস্তারিত ধারণা দেন।

অনুষ্ঠান ঘুরে দেখা যায়, উপস্থিত হাজারো শিক্ষার্থী মুগ্ধ হয়ে শুনছেন বক্তব্য। নিজের পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য ভর্তি হওয়ার বিষয়ে প্রয়োজনীয় বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরে অনুপ্রাণিত হয়েছেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে আগত এসব শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীরা জানান, দেশে কিংবা বিদেশে উচ্চশিক্ষার বিষয়ে যে তাদের মনে যে ভয়, সংশয় কিংবা সন্দেহ ছিল তার অনেকটাই দূর হয়ে গেছে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের পর। তারা অনেকটাই চাপমুক্ত হয়েছেন। হয়েছেন অনুপ্রাণিত। দীর্ঘদিন ধরে লালিত উচ্চশিক্ষার স্বপ্নটা আরো মজবুত হয়েছে তাদের।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ২য় বর্ষে অধ্যয়নরত মো. আল আমিন এসেছেন বিদেশে উচ্চশিক্ষার বিষয়ে ধারণা নিতে। কথা হয় তার সাথে। তিনি বলেন, শুরু থেকেই বিদেশে উচ্চশিক্ষার বিষয়ে আমার প্রবল আগ্রহ ছিল। বর্তমানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করলেও আমি বিদেশে উচ্চশিক্ষার বিষয়ে নিয়মিতই খোঁজ খবর নিচ্ছিলাম। আজকের অনুষ্ঠানের খবর পেয়ে কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনার জন্য রেজিষ্ট্রেশন করে এখানে আসি। এখানে এসে বিদেশে উচ্চশিক্ষার বিষয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আমি জানতে পারি। বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিরা এখানে খুবই সুন্দরভাবে দিকনির্দেশনামূলক কথা বলেছেন। সত্যি বলতে বিদেশে উচ্চশিক্ষার বিষয়ে যে ভয় ও সংশয় কাজ করত তার অনেকটাই এখন কেটে গেছে। বিদেশে উচ্চশিক্ষার বিষয়টাকে যত কঠিন মনে করেছিলাম এটি আসলে এতটাও কঠিন নয়।
এখানে এসে আমি নতুন করে অনুপ্রেরণা খুঁজে পেয়েছি।

সদ্য এইচএসসি পাশ করে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন সাবরিনা নাঈম। তিনি বলেন, এইচএসসি পাশ করে সবারই টার্গেট থাকে ভালো একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার। আমিও একই টার্গেট নিয়ে ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছি। একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় লাখো শিক্ষার্থীর সাথে প্রতিযোগিতা করে একটি আসন নিজের করে নেয়া খুব একটা সহজ বিষয় না। আজকে এই অনুষ্ঠানে এসে বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষায় ভর্তির ব্যাপারে খুবই গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়ে ধারণা পেরেছি যা ইতোপূর্বে আমার জানা ছিল না। এছাড়াও বিদেশে উচ্চশিক্ষাকে খুব কঠিন বিষয় মনে করতাম। আজকের অনুষ্ঠানে এসে বিদেশে উচ্চশিক্ষার বিষয়ে যে ধারণা পেয়েছি তাতে করে মনে হচ্ছে যতটা কঠিন মনে করেছিলাম অতটাও কঠিন নয় বিদেশে উচ্চশিক্ষা।

অনুষ্ঠানে অংশ নেয়া সুপ্তি দাস বলেন, আজকের অনুষ্ঠান থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আজকে আমি জানতে পেরেছি। আমি এখন বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির প্রস্তুতি নিচ্ছি। দেশে এবং বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষার বিষয়ে আজকে এমন অনেক বিষয় জানতে পেরেছি যা আমি এবং প্রত্যেক শিক্ষার্থীর আরো আগেই জানা উচিত ছিল। সর্বোপরি আজকের প্রোগ্রামটি আমিসহ আজকে উপস্থিত সকল শিক্ষার্থীর জন্য অনেক বেশি হেল্পফুল।

অপর এক শিক্ষার্থী রেজাউল সামি বলেন, সত্যি বলতে বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ব্যাপারে আমার আগে তেমন আগ্রহ ছিল না। আমি এখন বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছি।বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকে খুব কঠিন বিষয় মনে হতো আমার। কিন্তু আজকে অনুষ্ঠানে বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিরা যেসব কথা বলেছেন তাতে করে বিদেশে পড়ার বিষয়ে আমার আগ্রহ তৈরি হয়েছে৷

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।