খাতুনগঞ্জে শতাধিক গুদাম ও আড়তে জোয়ারের পানি

দেশের সবচেয়ে বড় ভোগ্যপণ্যের বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ, চাক্তাই ও আসাদগঞ্জেও ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর প্রভাব পড়েছে। সিত্রাংয়ের প্রভাবে এসব এলাকার প্রায় শতাধিক খাদ্য গুদাম ও আড়তে জোয়ারের পানি প্রবেশ করেছে।

তাতে পেঁয়াজ, আদা, রসুনসহ বিভিন্ন নিত্যপণ্যর বস্তা ডুবেছে। ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) সকালে পানি নেমে গেলেও দোকানগুলোর ভেতর এখনও পানি জমে আছে। যা পরিষ্কার করার চেষ্টা করছেন সেখানকার শ্রমিকরা।

ব্যাবসায়ীদের দাবি, এটিই প্রথম নয়। এর আগেও জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেলে তলিয়ে গেছে এসব এলাকা। ড্রেনেজ ব্যবস্থা ঠিক না থাকায় জোয়ারের পানি ঢুকে পড়ছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সোমবার রাত সাড়ে ১১টা থেকে চাক্তাই-খাতুনগঞ্জে জোয়ারের পানির চাপ বাড়তে থাকে। জোয়ারের পানিতে খাতুনগঞ্জের হামিদুল্লাহ মিয়ার বাজার, আমির মার্কেট, আছদগঞ্জ, শুটকিপট্টি, ড্রামপট্টি, মধ্যম চাক্তাই ও সোবহান সওদাওগর রোডের নিচু এলাকার বেশিরভাগ দোকান ও গুদামে পানি প্রবেশ করেছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, ২০১৮ সালের মাঝামাঝি সময় চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) চাক্তাই খালের কর্ণফুলী মোহনায় জোয়ারের পানি প্রতিরোধক স্লুইচ গেট নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করে। কিন্তু উদ্বোধনের প্রায় সাড়ে চার বছর হতে চললেও এখনো নির্মাণ কাজ শেষ হয়নি। ফলে এখনো ব্যবসায়ীদের জোয়ারের পানিতে দুর্ভোগের সম্মুখীন হতে হচ্ছে।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।