খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে কৃষি গবেষণায় জোরদারসহ ৩ প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর

এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে কৃষি গবেষণায় সহযোগিতা জোরদারসহ তিনটি প্রস্তাব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) জাতিসংঘের খাদ্য এবং কৃষি সংস্থার (এফএও) এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ৩৬তম সম্মেলনে দুবাই থেকে অনলাইনে যোগ দিয়ে তিনি একথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, এ অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে কৃষি গবেষণা ও শিক্ষা ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়াতে হবে।

অন্য একটি প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রী এ অঞ্চলে এফএও সদস্য দেশগুলোর মধ্যে কৃষি ক্ষেত্রে বায়োটেকনোলজি, ন্যানোটেকনোলজি এবং রোবটিক্সের মতো আধুনিক প্রযুক্তি হস্তান্তর ও জ্ঞান বিনিময় বাড়ানোর কথা বলেন।

তৃতীয় প্রস্তাব তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আধুনিক কৃষিতে বিপুল বিনিয়োগ প্রয়োজন, তাই কৃষিতে অর্থায়ন ও সহায়তার জন্য তহবিল তৈরি করা যেতে পারে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি কৃষি খাতেও ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। ২০২০ সালে মহামারির প্রাথমিক পর্যায়ে উৎপাদক এবং ভোক্তা উভয়ের মধ্যে সরবরাহের শৃঙ্খলা ব্যাহত হয়েছে। তবে, আমাদের নেয়া সময়োপযোগী এবং বিভিন্ন কার্যকর পদক্ষেপ দ্রুত এ খাতকে পুনরুদ্ধার করতে সাহায্য করেছে। আমরা খাদ্য উৎপাদন ও কৃষি উপকরণ সরবরাহ যাতে বাধার মুখে না পড়ে সেজন্য যান্ত্রিকীকরণসহ বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছি।

সরকার প্রধান বাংলাদেশের কৃষি পরিস্থিতি তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশের কৃষি এখন বাণিজ্যিক কৃষিতে রূপান্তরিত হচ্ছে। তাই এখন মান বৃদ্ধি এবং বহুমুখীকরণের ওপর জোর দিতে হবে।

তিনি বলেন, খাদ্য নিরাপত্তা অবশ্যই মানুষের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। দক্ষিণ এশিয়ার প্রায় ৩০৫ দশমিক ৭ মিলিয়ন মানুষ এখনও ক্ষুধায় ভুগছেন। আমরা সবাই আন্তরিকভাবে চেষ্টা করলে তাদের জন্য সহজে খাবারের ব্যবস্থা করতে পারি।

কৃষিমন্ত্রী ড. মুহাম্মদ আবদুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে সম্মেলনে ফাও মহাপরিচালক কিউ দংইউ এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বক্তৃতা করেন।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ এবারই প্রথম এফএও এর এই আঞ্চলিক সম্মেলনে বসেছে। যাতে ৪৩টি সদস্য রাষ্ট্র এবং জাতিসংঘের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের প্রতিনিধি, উন্নয়ন সহযোগী, এনজিও ও নাগরিক সমাজের ৯০০ প্রতিনিধি অংশ নিচ্ছেন।

এমএফ

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।