খালেদা জিয়া সুস্থ হওয়ায় বিএনপির অপরাজনীতি প্রমাণিত : তথ্যমন্ত্রী

সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি যে বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে রাজনীতি করেছে, তার সুস্থতার মাধ্যমে এটিই প্রমাণিত হয়েছে। বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে তারা। ডাক্তারদের প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন করেছে। বলেছে বেগম জিয়াকে যদি বিদেশে নেওয়া না হয় তাহলে তার যেকোন সময় যেকোন দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এই যে কথাগুলো বলেছিলো, বেগম জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে তারা যে অপরাজনীতি করেছে এটিই আজকে প্রমাণিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ক্যাবল টিভি অপারেটর, টেলিভিশন মালিক, ডিটিএইচ সেবাদানকারী প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে মন্ত্রী এসব বলেন। সচিবালয়ে তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে তথ্যসচিব মো. মকবুল হোসেন, বেসরকারি টেলিভিশন মালিকদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্সের (এটকো) সিনিয়র সহ-সভাপতি ইকবাল সোবহান চৌধুরীসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

দীর্ঘ ৮১ দিন চিকিৎসা নিয়ে খালেদা জিয়া আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হাসপাতাল ছেড়ে গুলশানের বাসায় ফিরছেন বলে জানিয়েছে বিএনপির মিডিয়া উইং। সাংবাদিকরা বিএনপি চেয়ারপারসন হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরার বিষয়ে মন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন, বেগম জিয়ার সুস্থ হয়ে বাসায় ফেরার যে সংবাদ এসেছে, এজন্য স্বস্তি প্রকাশ করছি এবং আমি আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করছি তিনি যাতে বাসায় ফিরে যান। তিনি যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন সে জন্য আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি। আগেও যখন বেগম খালেদা জিয়া হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তখনও একই কথা বলেছিলেন। বিদেশ না নিলে তাকে বাঁচানো সম্ভব না, এবারও একই কথা বলেছিলো। বিএনপি মিথ্যাচার করে, এটিই প্রমাণিত হলো বেগম জিয়ার সুস্থ হওয়ার মাধ্যমে।

প্রসঙ্গত, ৭৭ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া অনেক বছর যাবৎ আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন। গত ১৩ নভেম্বর তাকে রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১০ জনের একটি বিশেষ মেডিক্যাল টিম তার চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।