গণপরিবহনে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে লুটের পর হাসপাতালে মৃত্যু, গ্রেপ্তার ৩

চট্টগ্রামের ফিসারী ঘাট এলাকা থেকে মাছ কিনে ফেরার পথে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে সর্বস্ব হারান আবু ছৈয়দ (৫৪)। পরে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ৯ দিন পর তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় দায়ের কারা মামলায় ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এছাড়া এক আসামির ভাড়া ঘর থেকে বিভিন্ন চেতনানাশক দ্রব্য জব্দ করা হয়েছে।

সোমবার (২ জানুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করেন পিবিআই চট্টগ্রাম জেলা ইউনিটের বিশেষ পুলিশ সুপার (এসপি) নাজমুল হাসান।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের ইব্রাহিমের ছেলে মহিন উদ্দিন (৩০), একই এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে মো. আনোয়ার হোসেন (৪২) ও ফেনী ছাগলনাইয়ার মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে মো. রফিকুল ইসলাম (৪২। তারা সবাই চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন।

পিবিআই জানায়, গত ২৮ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম নগরীর অলংকার মোড় হতে ভুক্তভোগী নিজ বাড়ি সীতাকুণ্ডে যাওয়ার জন্য বাসে ওঠেন। দীর্ঘ সময় তার মুঠোফোন বন্ধ থাকার পর তাকে সীতাকুণ্ডের বড় দারোগার হাট বাজারে অজ্ঞান অবস্থায় পাওয়া যায়। এ সময় তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে গত ৬ অক্টোবর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভুক্তভোগীর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে বাদী হয়ে মামলা দায়ের করলে পিবিআই তদন্তে নেমে এই অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করেন।

পিবিআই আরও জানায়, চক্রের এক সদস্য প্রথমে বাসে উঠে একজনকে টার্গেট করে। তাকে যৌন সমস্যা সমাধান সংক্রান্ত বই পড়িয়ে বিভিন্নভাবে প্ররোচিত করে। এক ফাঁকে একটা বড়ি খাওয়ার প্রস্তাব দেয়। ভুক্তভোগীর বিশ্বাস অর্জন করতে প্রথমে নিজেদের লোকদের বড়ি খেতে দেন। এরপর ভুক্তভোগী অজ্ঞান হয়ে গেলে চক্রের সদস্যরা যাত্রীর কাছ থেকে সর্বস্ব লুট করে পালিয়ে যান।

বিশেষ পুলিশ সুপার (এসপি) নাজমুল হাসান বলেন, চক্রের সদস্যরা কয়েক প্রকার ওষুধের মিশ্রণে চেতনানাশক বড়ি বানাতেন। এগুলোকে যৌন উত্তেজক বড়ি বলে কৌশলে বাস যাত্রীদের খাওয়ানো হতো। এরপর যাত্রীদের সবকিছু নিয়ে অভিযুক্তরা গাড়ি থেকে নেমে যেত। তাদের দলে চারজন আছে। তিনজনকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি। বাকি একজনকে শিগগিরই গ্রেপ্তার করা হবে।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।