গ্লোবাল ওয়ানের খাদ্য ও আর্থিক সহায়তা পেলো আরও ২৪ এতিম শিক্ষার্থী

এতিম শিশুদের সহায়তা প্রদান প্রকল্পের আওতায় চট্টগ্রামের ২৪ এতিম শিশুকে খাদ্য সহায়তা ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা গ্লোবাল ওয়ান। এই প্রকল্পের আওতায় বিশ্বব্যাপী ২২ হাজার এতিম শিক্ষার্থীকে শিক্ষা সহায়তা প্রদান করছে গ্লোবান ওয়ান। চট্টগ্রামে এই প্রকল্পের আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতা করছে দেশীয় ইস্পাত শিল্প প্রতিষ্ঠান বিএসআরএম।

বৃহষ্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) এসব শিশুর মাঝে তৃতীয় দফায় খাদ্য, শিক্ষা সামগ্রী ও নগদ টাকা বিতরণ করা হয়। এই ২৪ জন শিশুর মধ্যে ১৪ জন মিরসরাই ও ১০ জন সীতাকুন্ডের বাসিন্দা।

সকাল ১০ টায় মিরসরাই পৌরসভা কার্যালয়ে সহায়তা বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন পৌরসভা মেয়র গিয়াস উদ্দিন, গ্লোবাল ওয়ানের কান্ট্রি ম্যানেজার রায়হান মাহমুদ কাদেরি, বিএসআরএমের হেড অব সিএসআর তরিখুল কবির, গ্লোবাল ওয়ানের হেড অব এক্সটার্নাল রিলেশন এন্ড কমিউনিকেশন তানজিনা আকতার, বিএসআরএমের সিএসআর টিমের সদস্য আরিফুল ইসলাম। অন্যদিকে সীতাকুন্ডের শিশুদের সহায়তা বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন জাহানাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি খায়রুল আজম ও যমুনা ব্যাংকের ভাটিয়ারী শাখার কর্মকর্তা গিয়াস উদ্দিন টিটু।

এসময় রায়হান মাহমুদ কাদেরী বলেন, ‘মূলত এতিম শিশুদের শিক্ষার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা দূর করতে আমরা অরফান সাপোর্ট প্রোজেক্ট ইন বাংলাদেশ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছি। সারা বিশ্বের ২২ টি দেশে এমন ২২ হাজার শিক্ষার্থী নিয়ে আমরা কাজ করি। এর আওতায় আমরা ১০ বছরের কম বয়সী এতিম শিক্ষার্থীদের বাছাই করি। পরে তাদের শিক্ষার ক্ষেত্রে ধারাবাহিকভাবে সহযোগিতা করি। এই ২৪ জন শিশুকে নিয়ে আমরা চট্টগ্রাম অঞ্চলে প্রথম কাজ শুরু করেছি। প্রতি তিনমাস পর পর এই শিশুদের খাবার ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হবে। গ্রেজুয়েশন পর্যন্ত এই সহায়তা অব্যহত থাকবে, এই কাজে যৌথভাবে আমাদের সাথে আছে দেশীয় ইস্পাত শিল্প প্রতিষ্ঠান বিএসআরএম।’

বিএসআরএমের হেড অব সিএসআর তরিখুল কবির বলেন, ‘এসব শিশুদের ধারাবাহিকভাবে প্রতি ৩ মাস পর পর সহায়তা দিব আমরা। পাশাপাশি তাদের কারিগরি শিক্ষার আওতায় আনার পরিকল্পনাও আমাদের আছে। এক্ষেত্রে তাদের শিক্ষার ক্ষেত্রে উৎসাহিত করা এবং শিক্ষার ক্ষেত্রে তাদের যাতে কোন প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হতে না হয় সেসব বিষয় নিয়েই আমরা কাজ করবো। সুবিধাভোগী শিক্ষার্থীর সংখ্যা আরও বাড়ানোর বিষয়ে ভাবছি আমরা।’

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।