ঘুর্ণিঝড় সিত্রাং–চট্টগ্রামে প্রস্তুত ২ হাজার আশ্রয়কেন্দ্র, ২৯০ মেডিকেল টিম

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের সম্ভাব্য প্রাণহানি এড়াতে উপকূলের চার লক্ষাধিক্ষ মুনষকে আশ্রয় দিতে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন দুই হাজারের বেশী আশ্রয়কেন্দ্র চালু করেছে। তন্মেধ্যে ৫১১টি আশ্রয়কেন্দ্রের পাশাপাশি ১ হাজার ৪৪০টি স্কুল ভবন ও ৯টি মুজিব কিল্লা ও আশপাশের ভবন প্রস্তুত করা হয়েছে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে। ২৯০টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রেখেছে সিভিল সার্জন কার্যালয়।

সোমবার (২৪ অক্টোবর) বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমান চট্টগ্রাম খবরকে বলেন, ঘুর্ণিঝড় সিত্রাং বাংলাদেশের উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় আমরা জেলার ৫১১টি আশ্রয়কেন্দ্র, ১ হাজার ৪৪০টি স্কুল ভবন, ৯টি মুজিব কিল্লাসহ দুই হাজারের বেশী ভবন প্রস্তুত রেখেছি। ইতোমধ্যে আমাদের প্রায় ১৪ হাজার স্বেচ্ছাসেবক মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়ার কাজ শুরু করেছেন।

এক প্রশ্নের জবাবে জেলা প্রশাসক বলেন, জেলার সব সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার ভূমিসহ সবাই কর্মস্থলে থাকছে। তাদের তত্ত্বাবধানে প্রস্তুতকৃত আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে শুকনো খাবার ও ঔষধ পাঠানো হয়েছে। দুর্যোগকালীন যে কোনো ধরনের ব্যয় জেলা প্রশাসন নির্বাহ করবে।

যেসব উপজেলার পাহাড়ে বসতি রয়েছে তাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিতে উপজেলা প্রশাসন ও সহকারী কমিশনারগণ কাজ করছেন বলেও জানান জেলা প্রশাসক মমিনুর রহমান।

এদিকে দুপুর সাড়ে ১২টায়য় জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে ঘূর্ণিঝড় পূর্ববর্তী ও পরবর্তী উদ্ধার কার্যক্রম চলমান রাখতে কোস্টগার্ডকে তাদের বোটগুলো প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে। প্রয়োজন সাপেক্ষে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থেকে জরুরী ত্রাণ ও সহায়তার নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।

ঘূর্ণিঝড়ে জরুরি মুহুর্তে সেবা দিতে চট্টগ্রাম জেলার ১৫ উপজেলার ২০০টি ইউনিয়নে একটি করে মেডিক্যাল টিম কাজ করবে। এছাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে ৫টি করে মেডিতেল টিম, ৯টি আরবান ডিসপেনসারির অধীন ৯টি টিম, চট্টগ্রাম স্কুল হেলথ ক্লিনিকে একটি টিম ও চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ৫টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানান সিভিল সার্জন ডা. ইলিয়াছ চৌধুরী।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।