ঘুর্ণিঝড় সিত্রাং–চট্টগ্রাম বন্দরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সতর্কতা ‘অ্যালার্ট-৩’ জারি

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এখন বাংলাদেশ উপকূলমুখী। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে আবহাওয়া অধিদপ্তর মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপৎসংকেত, চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর ও কক্সবাজারকে ৬ নম্বর বিপৎসংকেত দেখাতে বলেছে। সিত্রাংয়ের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সতর্কতা ‘অ্যালার্ট-৩’ জারি করে এনসিটি, সিসিটির সব জাহাজ বহিরনোঙরে পাঠিয়ে দিয়েছে। বন্দর চ্যানেল থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে সব লাইটার জাহাজও।

সোমবার (২৪ অক্টোবর) সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে ১১টা নাগাদ এনসিটি ও সিসিটি জাহাজশূন্য হয়। বন্দর কর্মকর্তারা বৈঠক করেছেন ঘুর্ণিঝড় মোকাবেলার প্রস্তুতি ও পরবর্তী পরিস্থিতি সামাল দিতে। আবহাওয়া অধিদফতরের সতর্কতা সংকেতের ওপর নির্ভর করে ধাপে ধাপে কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হচ্ছে।

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কারণে চট্টগ্রাম বন্দরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সতর্কতা ‘অ্যালার্ট-৩’ জারি করা হয়েছে। এর ফলে জাহাজ থেকে পণ্য, কনটেইনার লোড-আনলোড বন্ধ হয়ে গেছে। হ্যান্ডলিং ইক্যুইপমেন্ট নিরাপদে রাখতে প্যাকিং করে রাখা হচ্ছে।

১৯৯২ সালে বন্দর কর্তৃপক্ষ প্রণীত ঘূর্ণিঝড়-দুর্যোগ প্রস্তুতি ও ঘূর্ণিঝড়–পরবর্তী পুনর্বাসন পরিকল্পনা অনুযায়ী, আবহাওয়া অধিদপ্তরের সংকেত অনুসারে চার ধরনের সতর্কতা জারি করে বন্দর। আবহাওয়া অধিদপ্তর ৩ নম্বর সংকেত জারি করলে বন্দর প্রথম পর্যায়ের সতর্কতা বা ‘অ্যালার্ট-১’ জারি করে। আবহাওয়া অধিদপ্তর ৪ নম্বর সংকেত জারি করলে বন্দর ‘অ্যালার্ট-২’ জারি করে।
বিপৎসংকেত ৫, ৬ ও ৭ নম্বরের জন্য বন্দরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সতর্কতা ‘অ্যালার্ট-৩’ জারি করা হয়। মহাবিপৎসংকেত ৮, ৯ ও ১০ হলে বন্দরে সর্বোচ্চ সতর্কতা ‘অ্যালার্ট-৪’ জারি করা হয়। সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি হলে বন্দর–জেটিতে অবস্থানরত জাহাজগুলোকে সরিয়ে নেওয়া হয়।

বন্দর সূত্রে জানাগেছে, বন্দরে পণ্যভর্তি ৩৪ হাজার কনটেইনার পড়ে আছে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার প্রস্তুতি হিসেবে রোববার বন্দর কর্তৃপক্ষ এক বিজ্ঞপ্তিতে আমদানিকারকদের দ্রুত কনটেইনার খালাসের আহ্বান জানিয়েছিল। আজ সন্ধ্যা বা রাত পর্যন্ত খালাস কার্যক্রম চলতে পারে।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।