চট্টগ্রামসহ সারাদেশে বই উৎসব শুরু

করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে গত দুই বছর বই উৎসব হয়নি। করোনা নিয়ন্ত্রণে আসায় আজ রবিবার (১ জানুয়ারি) নতুন শিক্ষাবর্ষের প্রথম দিনে চট্টগ্রামসহ সারাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় উৎসব করে শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যে পাঠ্যবই তুলে দিচ্ছে।

সকালে নগরীর খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, চট্টগ্রাম কলেজিয়েটে স্কুল, সরকারি মুসলিম হাইস্কুলসহ উপজেলার বিভিন্ন স্কুলে চলছে বই উৎসব। বই উৎসব উপলক্ষে স্কুলগুলোয় বসেছে শিক্ষার্থীদের আনন্দমেলা। বই পেয়ে শিক্ষার্থীরা বেজায় খুশি।

তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল শনিবার ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন।

চট্টগ্রাম জেলা শিক্ষা অফিসের তথ্য মতে, চট্টগ্রামের মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১২ লাখ ৪৩ হাজার ৪৮১ জন। এসব শিক্ষার্থীর বিপরীতে বইয়ের চাহিদা ১ কোটি ৫৭ লাখ ৮৯ হাজার ৯০৩টি। গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মাধ্যমিকের প্রাপ্ত বইয়ের সংখ্যা ৫৮ লাখ ৫৪ হাজার ৪৬১টি। মাদ্রাসায় প্রাপ্ত বইয়ের সংখ্যা ২৯ লাখ ৮৭ হাজার ৪১টি। সর্বমোট প্রাপ্ত বইয়ের সংখ্যা ৮৮ লাখ ৪১ হাজার ৫০২টি। এ পর্যন্ত মোট প্রাপ্ত ৫৫ দশমিক ৯৯ শতাংশ বই বিদ্যালয়ে পৌঁছেছে।

চট্টগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের তথ্য মতে, চট্টগ্রামের ৪ হাজার ৩৫৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিকে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১০ লাখ ৮২ হাজার। এসব শিক্ষার্থীর বিপরীতে বইয়ের চাহিদা হচ্ছে ৪৫ লাখ ২২ হাজার ১০৯টি। চাহিদার বিপরীতে গত শুক্রবার পর্যন্ত বই এসেছে মাত্র ১৪ লাখ ৮৯ হাজার ১১টি। যা মোট চাহিদার ৩৩ শতাংশ।

জানতে চাইলে জেলা শিক্ষা অফিসার ফরিদুল আলম হোসাইনী বলেন, আমাদের প্রতিদিনই বই আসছে। গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৫৫ দশমিক ৯৯ শতাংশ বই এসেছে। এছাড়াও, গতকাল (শনিবার) সন্ধ্যা পর্যন্ত অসংখ্য বই এসেছে। এগুলোর হিসেব আমরা এখনো করিনি। চাহিদার বিপরীতে অবশিষ্ট বইগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে চলে আসবে বলে আশা করছি।

এনসিটিবির চেয়ারম্যান মো. ফরহাদুল ইসলাম গতকাল জানিয়েছিলেন, পাঠ্যপুস্তক উৎসবের কোনো ঘাটতি হবে না। উৎসবের জন্য সব জায়গাতেই বই গেছে এবং সব শিক্ষার্থীই নতুন বই হাতে পাবে। তবে শতভাগ বই দিতে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত লেগে যেতে পারে।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।